বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২ তম আসরের চূড়ান্ত নিলাম থেকে বাদ পড়ার পরই বিসিবির কাছে গত আসরের বকেয়া পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। আবারও নিজের পাওনা বুঝে চাইলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
বিপিএলের ১১ তম আসরে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন বিজয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে ৫০ লাখ টাকার চুক্তি করেছিলেন তিনি। এই ক্রিকেটারের দাবি, এখনো ৩০ লাখ টাকা পাবেন রাজশাহীর কাছে। বকেয়া টাকা চেয়ে দুই দিনের মাথায় আবারও ফেসবুক লাইভে আসলেন বিজয়।
তিনি বলেন, ‘আমি পুরো পারিশ্রমিক পাইনি সে বিষয়ে বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলসহ যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন সবাইকে জানিয়েছি। এমন কিছু না যে নতুন করে বলছি। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনটি ডকুমেন্ট দেখিয়েছি। একটা ছিল রাজশাহী টিমের সাথে আমার চুক্তি, একটা ছিল রাজশাহী টিম যে চেকগুলো দিয়েছিল সেখানে কোন টাকা নেই। থার্ড যেটা ছিল আমি বিসিবিকে মেইল করেছি ১০-১৫ দিন হয়ে গেছে, আমি কোন উত্তর পাইনি।’
বিপিএলের আয়োজক হওয়ায় বিসিবির কাছেই বকেয়া পাওনার বিষয়ে সমাধান চান বিজয়, ‘লাইভে আসার উদ্দেশ্য হলো মানুষজন সত্যটা জানুক। বিপিএলের প্রধান এখন যিনি দায়িত্বে আছেন উনি বলেছেন আমি ডিরেক্ট সাইনিং এর প্লেয়ার। ডিরেক্ট সাইনের প্লেয়ারের দায়িত্ব বিসিবি নিতে পারবেনা। তাহলে আমি কাদের হয়ে খেলেছি রাজশাহী টিম। তারা কাদের নিয়ে? অবশ্যই তারা বিসিবির। যদি ডিরেক্ট সাইনিংয়ের হওয়ায় আমাকে পেমেন্ট না দেওয়া হয় তাহলে আমার ভিত্তিমূল্য কত ছিল? ৪০ লাখ টাকা। ড্রাফটে বিক্রি হব সেই টাকাও তো বিপিএল আমাকে দেয়নি। ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত দেওয়ায় আমি রাজশাহীর সঙ্গে সরাসরি চুতে গেছি।’
বিপিএলে চলাকালীন পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা হলে বিসিবির আশ্বাসের কারণেই খেলা চালিয়ে গেছে রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। সেটাও স্মরণ করিয়ে দিলেন বিজয়, ‘পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ায় রাজশাহী টিম অনুশীলন বয়কট করেছিল। পারিশ্রমিক জটিলতায় হোটেলে মালিককে আটকে রাখা, বাসের পেমেন্টসহ এমন সমস্যা ছিল। তখন বিসিবির কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন আমি, ইয়াসির, তাসকিন, আকবর, ফারুক স্যার (তৎকালীন প্রেসিডেন্ট), মঞ্জু ভাই এবং আকরাম ভাই উপস্থিত ছিলেন। অনেক অনিশ্চয়তার পরও আমাদের অনুরোধ করা হয় প্রপার ওয়েতে টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার জন্য। পেমেন্ট নিয়ে ডিরেক্ট সাইন বা ড্রাফটেড প্লেয়ার যেই হও সবাইকে বিসিবি আশ্বস্ত করে খেলা চালিয়ে নিতে বলেছিল।’