আসছে জুলাইয়ে একচল্লিশ পেরিয়ে বিয়াল্লিশে পা রাখবেন জেমস অ্যান্ডারসন। এই বয়সেও কীভাবে পেস বোলিং করেন তিনি—এই প্রজন্মের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে সেটি এক বিস্ময়! তবে আর বেশি দিন এই বিস্ময় দেখা যাবে না ক্রিকেটে। আগামী ১০ জুলাই শুরু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট খেলে অ্যান্ডারসন ইতি টানবেন ২২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের। গতকালই এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার।
অ্যান্ডারসনের নামের পাশে ৭০০ টেস্ট উইকেট। সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেটের রেকর্ড এটি নয়। মুত্তিয়া মুরালিধরনের উইকেট ৮০০। শেন ওয়ার্নের ৭০৮। তবে তাঁরা ছিলেন স্পিনার। আর অ্যান্ডারসন পেসার। বোলিংয়ে পেসারদের বেশি ক্যালরি পোড়াতে হয় বলেই চল্লিশ পেরিয়েও কোনো পেসারের বোলিং করাটা কঠিন ও বিস্ময়ের। তবে কঠিন হলেও এত দিন ধরে এমন বিস্ময়ই উপহার দিয়ে আসছেন তিনি।
অ্যান্ডারসনের সময়ের অনেক ক্রিকেটার বিদায় নিয়ে অন্য ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। ‘সুইং মাস্টারের’ও লম্বা সময় ধরে অবসরের গুঞ্জন চলছিল। নিজের অবসর নিয়ে গতরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্টে অ্যান্ডারসন লেখেন, ‘শুধু একটি কথায় বলে রাখি, লর্ডসে গ্রীষ্মের প্রথম টেস্টই আমার শেষ টেস্ট। আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করে অসাধারণ ২০ বছর কেটেছে।’
গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অবসর নিয়ে অ্যান্ডারসন সম্প্রতি ইংল্যান্ডের টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ম্যাককালাম জানিয়েছেন, তিনি দলকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে চান।
২০০৩ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। এরপর থেকে সাদা পোশাকে হয়ে উঠেন ইংলিশদের অন্যতম অস্ত্র।