‘মি. ডিপেন্ডবল’ তকমা পাওয়া মুশফিক বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের আদর্শ। তাঁর দীর্ঘ এ পথচলায় পরিবারের অবদান বিশেষভাবে মনে করলেন সংবাদ সম্মেলনে। সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে মুশফিক কৃতিত্ব দিলেন স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াতকে। স্ত্রীর অবদান ছাড়া এই পর্যন্ত আসতে পারতেন না বলেই মনে করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কিফায়াতের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুশফিক। এই দম্পতির ঘর আলো করে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসে ছেলে শাহরোজ রহিম মায়ান। ২০২৩ সারলে কন্যাসন্তাদের বাবা হন সাবেক অধিনায়ক।
ক্যারিয়ারের শততম টেস্টে সেঞ্চুরির পর মুশফিক বলেন, ‘আমার মনে হয় সবচয়ে বড় ত্যাগ, বড় সাপোর্ট আমার স্ত্রী দিয়েছে। হয়তোবা একটু অন্যদের তুলনায় বেশি অনুশীলন করি। এটা সম্ভব হতো না যদি আমার ঘরে এরকম একটা পরিবেশ না থাকত। আমরা যৌথ পরিবারে থাকি। আমার স্ত্রীর ওপর যে প্রত্যাশা সবাইকে ওভাবে ম্যানেজ করা, আমার পর্যন্ত ইমার্জেন্সি না আসা পর্যন্ত সব কিছুই সে করতে পারে। অনেক বড় বিষয়। এটা অনেক বড় স্যাক্রিফাইস।’
ক্যারিয়ারে স্ত্রীর অবদানের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মুশফিক আরও বলেন, ‘রাতে স্বাভাবিকভাবে ছোট বাচ্চারা সারারাত ঘুমায় না। তবে আমাকে এর জন্য একটাও নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়নি। পুরোটা সময় সেই রাত জেগে বাচ্চাদের মানুষ করেছে এবং আমাকে ওই টেনশন থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। তার কাছে কৃতজ্ঞ।’
এমন একজন স্ত্রী পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন মুশফিক, ‘হয়তো কখনো তাঁর সামনে বলা হয়ে উঠে না। এটারও একটা অভিযোগ আছে। তবে সত্যি বলতে, আমি সেদিক থেকে ভাগ্যবান। আমার বিশাল একটি অংশ এটা। সংসার জীবনে আমার বছরের মতো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে যদি ক্রিকেটের ওপর আমার প্রভাব দেখেন, সে আমার জীবনের অনেক বড় অংশ। এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’