এ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই গত বছর মার্চে লিটন দাস খেলেছিলেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১৭৬ রান। এরপর খেলা আটটি ওয়ানডে ইনিংসের কোনোটিই ফিফটি পেরোয়নি। সাদা বলের ক্রিকেটে ছন্দ হারিয়ে ফেলা লিটন নিজেকে ফিরে পেতে সেই জিম্বাবুয়েকেই বেছে নিলেন। ৮ ম্যাচে ১০১ করা লিটন এক ম্যাচেই করলেন ১০২।
আজ হারারেতে তাঁর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াইয়ের স্কোর গড়ছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২৭৬। হারারে টেস্টের মতো আজও সেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন তীব্র চাপে, তখনই দলকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছেন লিটন আর মাহমুদউল্লাহ। টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও দলে বিপদের সময় এই দুজনের ব্যাটে উদ্ধার হয় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে নিজের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন লিটন। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৯৩ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৩ রান করে জঙ্গুয়ের বলে আউট হলে ভাঙে এ জুটি।
তবে এক প্রান্তে আগলে রেখে এগিয়ে যান লিটন। নিজের চতুর্থ ওয়ানডে ফিটটিকে চতুর্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে লিটন খেলেছেন ১১০ বলে। ব্যাটিং বিপর্যয় সামলাতে শুরুতে ধীরলয়েই এগিয়েছেন লিটন। প্রথম বাউন্ডারি পেতে লেগেছে ৩৭ বল। স্ট্রোক প্লে খেলে অভ্যস্ত লিটনের স্ট্রাইকরেট এ সময় ৫০–এর নিচে নেমে আসে। বাউন্ডারির চেয়ে লিটন চেয়েছেন প্রান্ত বদল করেই রানের চাকা সচল রাখতে। ৪৭ রানই তাঁর এসেছে সিঙ্গেলে। তবে থিতু হয়ে যাওয়ার পর স্ট্রাইকরেট বাড়তে শুরু করে লিটনের। পুরো ইনিংসে ৮টা বাউন্ডারি মারা লিটনের স্ট্রাইকরেট শেষ পর্যন্ত ৯০–এর কাছাকাছি। লিটনের ১০২ রানের ঝকঝকে ইনিংসটা শেষ হয়েছে এনগারাভার শর্ট বলটা ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে পুল করতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ হয়ে।
লিটনের দুর্দান্ত ইনিংসের আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চাপে ছিল বাংলাদেশ। ৭৪ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়েছে তামিম (০), সাকিব (১৯), মিঠুন (১৯) ও মোসাদ্দেককে (৫)। এরপর পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে লিটনের ৯৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করে। মাহমুদউল্লাহ ৩৩ রান করে আউট হন। আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ সপ্তম উইকেট জুটিতে আরও ৫৮ রান যোগ করেন। আফিফ ৩৫ বলে ৪৫ ও মিরাজ ২৬ রান করে আউট হন। এতেই ৯ উইকেটে ২৭৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।