১৩৫ রানের লক্ষ্য বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন কী! যেখানে আগে ব্যাটিং করে ২০০, ২৫০ রান করেও জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকার কোনো উপায় নেই। তবে গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কখন যে কী হয়, সেটা অনুমান করা মুশকিল। গত রাতে তাসকিন আহমেদের শারজা ওয়ারিয়র্সের এমন মামুলি লক্ষ্য তাড়া করে জিততে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয়েছে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গত রাতে আবুধাবি নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয়েছে তাসকিনের শারজা ওয়ারিয়র্স। ৪ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে এখন শারজা ওয়ারিয়র্সের পয়েন্ট ৬। ৮ ম্যাচ খেলে তাসকিনের দল ৩ ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে ৫ ম্যাচ। শারজা ওয়ারিয়র্সের মতো আবুধাবি নাইট রাইডার্স, গালফ জায়ান্টসেরও পয়েন্ট ৬। তবে নেট রানরেটের মারপ্যাচে পয়েন্ট টেবিলে তাসকিনের দল অবস্থান করছে ৬ নম্বরে। শারজার নেট রানরেট -০.৯১০। চার ও পাঁচ নম্বরে থাকা গালফ জায়ান্টস ও আবুধাবি নাইট রাইডার্সের নেট রানরেট +০.০১৮ ও -০.৮০৫। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে সবার ওপরে ডেজার্ট ভাইপার্স। দুই ও তিনে থাকা এমআই এমিরেটস ও দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট ১০ ও ৮।
আবুধাবির দেওয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গতকাল ১২.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৬৫ রানে পরিণত হয় শারজা। এমন অবস্থায় শারজার ওপর রানরেটের চাপ বাড়তে থাকে। ৪৭ বলে ৭০ রানের সমীকরণের সামনে যখন শারজা, তখন ঢাল হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও জেমস রিউ। পঞ্চম উইকেটে ৩৫ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন রাজা-রিউ। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন অজয় কুমার। ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান করেন রাজা। পরের ওভারের (১৯তম ওভার) শেষ বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে (০) যখন জেসন হোল্ডার ফিরিয়েছেন, তখন জয়ের সুযোগ তৈরি হয় আবুধাবি নাইট রাইডার্সের।
হাতে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে ১২ রানের সমীকরণের সামনে এসে পড়ে শারজা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের শেষ বলে আন্দ্রে রাসেলকে শর্ট কাভারে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে শারজাকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দেন আদিল রশিদ। শারজা ওয়ারিয়র্সের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন রিউ। ২৯ বলের ইনিংসে ৪ চার ও ১ ছক্কা মারেন তিনি। আবুধাবির অজয় ও হোল্ডার নিয়েছেন একটি করে উইকেট। শারজার ৪ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রশিদ। ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া আবুধাবি নাইট রাইডার্স ৩.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১০ রানে পরিণত হয়। ১০০-এর আগে অলআউট হওয়ার তুমুল শঙ্কা থাকলেও শেষের ঝড়ে সেটা এড়িয়েছে আবুধাবি। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসা তাসকিনের ওভারে তাণ্ডব চালিয়ে ২৫ রান নেয় আবুধাবি। সেই ওভারে দুটি করে ছক্কা মারেন হোল্ডার ও রাসেল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে আবুধাবি। তাসকিন ৪ ওভারে ৪১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। শারজা অধিনায়ক রাজা ৪ ওভারে ১৭ রানে নিয়েছেন এক উইকেট।