মোস্তাফিজুর রহমান আইএল টি-টোয়েন্টি খেলতে এই মুহূর্তে আছেন আরব আমিরাতে। টুর্নামেন্টটা খেলছেনও দারুণ। গত পরশু তাঁর অফ কাটার, সিম স্ক্র্যাম্বল স্কিল নিয়ে ধারাভাষ্যকরদের ক্ষুরধার বিশ্লেষণ দেখা গেল। আজ আইপিএলের নিলামে মোস্তাফিজ দল পেলেন রীতিমতো রেকর্ড গড়ে। তাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে ভিড়িয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে। বাংলাদেশি কোনো ক্রিকেটারের আইপিএলে এটাই সর্বোচ্চ দাম।
আইপিএলের বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ দামের তালিকা করতে বসলে সবার আগে আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম। ২০০৯ আইপিএলের নিলামে মাশরাফিকে কলকাতা নিয়েছিল প্রায় ৪ কোটি টাকায়। মাশরাফির সেই রেকর্ড গত মাসে ভেঙে দিয়েছিলেন ফিজই, দিল্লি যখন তাঁকে আইপিএলের শেষ দিকে দলে নিয়েছিল ৬ কোটি রুপিতে। কলকাতা এবার ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ কোটি টাকায় নেওয়া ফেসবুকে মাশরাফি লিখেছেন, ‘মোস্তাফিজ ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতা নাইটা রাইর্ডাসে খেলবে এবার যা বাংলাদেশ টাকায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অভিনন্দন ফিজ। বর্তমান সে যে ছন্দে আছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। বরং দারুণ কিছু করবে ইনশা আল্লাহ।’
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দিল্লির আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ৪ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। আজকের নিলামেও দিল্লি তাঁদের চেনা সৈনিক ফিজকে রেখে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের হাতে তখন বেশি বাজেট ছিল না। এর মধ্যে চেন্নাইও আগ্রহ দেখায় তাদের ‘চেনা’ মোস্তাফিজের দিকে। হাতে যথেষ্ট বাজেট থাকায় দিল্লি-চেন্নাইকে টেক্কা দিয়ে ফিজকে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে নিজেদের দলে ভেড়ায় কলকাতা। ফিজের আগে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে অতীতে কলকাতায় খেলেছেন মাশরাফি, সাকিব ও লিটন দাস।
দল পেলেও মোস্তাফিজের অবশ্য পুরো আইপিএল খেলা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। এপ্রিলে যে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ফিজকে তখন আইপিএল খেলতে বিসিবি এনওসি বা অনাপত্তিপত্র দেবে কি না, যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। যদি পুরো আইপিএলে মোস্তাফিজ খেলতে না পারেন সে ক্ষেত্রে পুরো ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি তিনি পাবেন না। পারিশ্রমিক পাবেন ম্যাচ খেলার অনুপাত অনুযায়ী, যেভাবে তিনি পেয়েছিলেন গত মে মাসে দিল্লির হয়ে আইপিএল খেলতে গিয়ে।