সর্বশেষ ১২ বছর আগে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপের পর আর কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি তারা। ট্রফি ছোঁয়া তো দূরের কথা, ফাইনালে খেলারই সুযোগ পায়নি দুবারের ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে ভারতের যাত্রা থেমেছে সেমিফাইনালে। এবার সেই ফাড়া কাটানোর দুর্দান্ত সুযোগ তাদের সামনে। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দেও আছে তারা। টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচ খেলে এখনো অপরাজিত তারা।
১২ বছর পর ফাইনালে ওঠার পথে ভারতের বাধা নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ বিশ্বকাপে কিউইদের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা। এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। আগামীকাল ভারতীয় ক্রিকেটাররা পারবেন কি না, সেটিই দেখার বিষয়।
ওয়াংখেড়েতে জিততে হলে নিজেদের এক বংশোদ্ভূতকেই থামাতে হবে ভারতকে। নিউজিল্যান্ডকে শেষ চারে ওঠাতে যাঁর অবদান অনন্য। সেই ব্যাটার হচ্ছেন রাচিন রবীন্দ্র। বেঙ্গালুরুতে জন্ম নেওয়া ২৩ বছর বয়সী উদীয়মান তারকাই ভারতের বড় ‘হুমকি’।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলছেন রাচিন। তবে খেলা দেখে বোঝার উপায় নেই অভিষেক টুর্নামেন্ট খেলছেন তিনি। অভিষেকে ম্যাচেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন। পরে আরও দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। সঙ্গে দুটি ফিফটিও করেছেন। সব মিলিয়ে ৯ ম্যাচে ৫৬৫ রান করে শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনে আছেন।
সেমিতেও রাচিনের ব্যাটে এমন ধারাবাহিক ছন্দটাই চায় নিউজিল্যান্ড। যেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভারতবাধা টপকাতে পারে তারা। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রাচিনও নিজের সেরাটা দিতে চান। তিনি বলেছেন, ‘গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে ভারতের বিপক্ষে খেলার স্বপ্ন সবারই থাকে। এ ছাড়া, ওয়াংখেড়েতে তারা অপরাজিত দল। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই মাঠ। আমরা সমানে–সমান লড়াই করব এবং আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
ভারতের বিপক্ষে শেষ চারের ম্যাচটি খেলার জন্য উন্মুখ আছেন বলে জানিয়েছেন রাচিন। তিনি বলেছেন, ‘অনুমান করি, আপনারাও ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখেছেন নকআউট পর্বে বড় ম্যাচ খেলার। ঠিক তেমনি আমিও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার জন্য উন্মুখ আছি। আর আমরা জানি, ক্রিকেটে প্রতিটি ম্যাচ জিতব না। প্রতি খেলায় আপনি হারতে অথবা জিততে পারেন। তবে আমরা দেখব কীভাবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।’