আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকটা মনে রাখার মতো হলো না সাকিব আল হাসানের। ব্যাটিংয়ে নেমে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। বোলিংয়ে মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার মাঠ ছেড়েছেন খুশি মনেই।
৪ ডিসেম্বর এমআই এমিরেটসের প্রথম ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি সাকিব। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে গালফ জায়ান্টস জিতেছিল ৬ উইকেটে। আজ শারজার পড়ন্ত বিকেলে শারজা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে করেছেন ১৬ রান। ২ ওভার বোলিং করে ২৭ রান খরচ করেও পাননি কোনো উইকেট। সাকিবের বাজে অভিষেকের দিনে এমআই এমিরেটস ৪ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে।
১৮৬ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান হয়ে যায় শারজা ওয়ারিয়র্স। শেষ ২ বলে ৭ রানের সমীকরণ যখন দরকার, তখন দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিবের সতীর্থ রোমারিও শেফার্ড। শেষ দুই বলেই সিঙ্গেল দিয়েছেন তিনি। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮১ রানে থেমে যায় শারজার ইনিংস। সিকান্দার রাজার ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি শারজার জয়ের জন্য। এমআই এমিরেটসের মোহাম্মদ গজনফার ও নাভিন উল হক নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফজলহক ফারুকি, জহুর খান ও শেফার্ড।
টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে থেমে যায় এমআই এমিরেটস। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন মুহাম্মদ ওয়াসিম। সাকিব ১২ বলে ২ চারে ১৬ রান করে রিটায়ার্ড আউট হয়েছেন। তবে সাত নম্বরে নামা শেফার্ডের ১০ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ইনিংসে এমিরেটস ১৮০ রানের বেশি করেছে। এক চার ও চার ছক্কা মেরেছেন। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এর আগে সাকিব আমিরাতে রয়্যাল চ্যাম্পসের হয়ে খেলেছেন আবুধাবি টি-টেনে। ১০ ওভারের এই টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচ খেললেও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। বোলিংয়ে ২ ওভারে ৩১ রান দিলেও পাননি কোনো উইকেট।