যেখানেই বল, সেখানেই তানজিদ হাসান তামিম—চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা যেন এমনই। আয়ারল্যান্ডের অর্ধেক উইকেটেই তাঁর অবদান রয়েছে। তবে বোলার হিসেবে নয়। ফিল্ডার হিসেবে গুনে গুনে পাঁচ ক্যাচ ধরেছেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে পাঁচ ক্যাচ নিয়েবাংলাদেশের ফিল্ডারদের মধ্যে তো বটেই। তানজিদ তামিম সব মিলিয়েই এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড গড়েছেন। সমান পাঁচ ক্যাচ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এই তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে আরও দুই ক্রিকেটার। মালদ্বীপের ওয়েদাগে মালিন্দা ও সুইডেনের সেদিক সাহাক এক ইনিংসে পাঁচটি করে ক্যাচ নিয়েছেন। ২০২৩ সালে কাতারের বিপক্ষে মালদ্বীপের মালিন্দা এই কীর্তি গড়েছিলেন। সুইডেনের সেদিকের পাঁচ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডটা হয়েছে এ বছরের সেপ্টেম্বরে আইল অব ম্যানের বিপক্ষে।
আয়ারল্যান্ডের ষষ্ঠ থেকে দশম—শেষ পাঁচ উইকেটের প্রত্যেকটিতে ক্যাচ ধরেছেন তানজিদ তামিম। শুরুটা করেছেন ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে গ্যারেথ ডেলানিকে দিয়ে। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রিশাদকে তুলে মারতে গিয়ে ডেলানি লং অফে ধরা পড়েছেন তানজিদ তামিমের হাতে। এরপর ১৮তম ওভারের তৃতীয় ও ষষ্ঠ বলে মার্ক অ্যাডাইর ও ম্যাথু হামফ্রিজের ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন তানজিদ তামিম। মোস্তাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে অ্যাডাইর, হামফ্রিজ দুজনেই লং অনে তানজিদ তামিমের তালুবন্দী করেছেন। পরবর্তীতে শরীফুল ইসলামের বলে লং অফে তামিম ধরেছেন গ্যারেথ ডেলানির ক্যাচ। শেষটা করেছেন ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে বেন হোয়াইটের ক্যাচ ধরে। আইরিশদের ইনিংসের ইতি টেনেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
তানজিদ তামিমের পর বাংলাদেশের ফিল্ডারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনটি ক্যাচ ধরার রেকর্ড রয়েছে। সাব্বির রহমান তিনবার এক ইনিংসে তিনটি করে ক্যাচ ধরার রেকর্ড ধরেছেন তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তানের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ক্যাচ ধরেছিলেন সাব্বির। ২০১৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ক্যাচ ধরেছিলেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচ
দল ক্যাচ প্রতিপক্ষ সাল
তানজিদ হাসান তামিম বাংলাদেশ ৫ আয়ারল্যান্ড ২০২৫
সেদিক সাহাক সুইডেন ৫ আইল অব ম্যান ২০২৫
ওয়েদাগে মালিন্দা মালদ্বীপ ৫ কাতার ২০২৩