আফগানিস্তানের কাছে ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত হওয়ার পর নামিবিয়ার কাছেও হারল স্কটল্যান্ড। বিপরীতে জয় দিয়ে সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু করল নামিবিয়া। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নামিবিয়ার জয় ৪ উইকেটে। প্রথম রাউন্ডে নেদারল্যান্ডস ও টেস্ট খেলুড়ে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল আফ্রিকার দেশটি। সুপার টুয়েলভেও সেই নামিবিয়ান রূপকথা চলছেই।
আবুধাবিতে আজ স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১১০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি নামিবিয়াকে। দুই ওপেনার ক্রেগ উইলিয়ামস আর ফন লিনগেন উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ২৮ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লিনগেন আউট হলেও উইলিয়ামস দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দলীয় ৫০ রানে জেন গ্রিন ব্যক্তিগত ৯ রানে ফিরলে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে নামিবিয়ার।
৫০ থেকে ৬৭ রানের মধ্যে জেরহার্ড এরাসমস (৪) আর উইকেটে সেট হওয়া উইলিয়ামস (২৩) আউট হলে কিছুটা বিপাকে পড়ে নামিবিয়া। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে জেজে স্মিট আর অভিজ্ঞ ডেভিড ভিসের ৩১ বলে ৩৫ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পায় নামিবিয়া। ১০ রান দূরে থাকতে ভিসে আর ১ রান আগে ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আউট হলেও ৪ উইকেটের সহজ জয় পায় নামিবিয়া। স্মিট ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি আসে স্মিটের ব্যাট থেকে।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নামিবিয়া। অধিনায়ক এরাসমসের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম ওভারেই স্কটল্যান্ডের তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে ফেরান রুবেন ট্রাম্পেলমান। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে চতুর্থ বোলার হিসেবে ম্যাচের প্রথম ওভারেই তিন উইকেট নেন ট্রাম্পেলমান। শোয়েব আখতার, ফিদেল এডওয়ার্ডস ও ইয়াসির আরাফাতের পর চতুর্থ বোলার হিসেবে ম্যাচের প্রথম ওভারেই তিন উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েন এই নামিবিয়ান বোলার।
শুরুর এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি স্কটল্যান্ড। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কাইল কোয়েটজারের দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৪৪ রান করেন মাইকেল লিস্ক। এরপর ক্রিস গিভসের ২৫ রানের সুবাদে এক শ পেরোয় স্কটল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত স্কটিশদের ইনিংস থামে ১০৯ রানে।