বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে ‘যুদ্ধে’ জড়িয়ে গেলেন এনামুল হক বিজয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামের আগে রেডফ্ল্যাগে থাকা ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম ওঠার পরই মূলত এ যুদ্ধের শুরু। বোর্ডের সঙ্গে এখন তিনি লড়ছেন আইনি পথে।
মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে আজ বিজয় নামতেই সাংবাদিকেরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বিপিএলকে কেন্দ্র করেই বোর্ডের সঙ্গে তাঁর লড়াই, সেটা তো অজানা নয়। সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটার বলেন, ‘বিসিবিতে আমি একটা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি ও উপদেষ্টা বরাবর পাঠিয়েছি। এটা জমা দিতেই বিসিবিতে আসা। বিসিবি সেটা গ্রহণ করেছে।’
বিজয়,সাঞ্জামুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবু, মিজানুর রহমান, নিহাদুজ্জামানদের নাম রেড ফ্ল্যাগের তালিকাভুক্ত থাকায় ২০২৬ বিপিএলের নিলাম থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ৯ ক্রিকেটার ১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নিলামের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তাঁদের নাম পুনরায় সংযোজনের নির্দেশনা চেয়ে তিনটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সেই পিটিশনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন।
সাংবাদিকেরা নোটিশের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে বিজয় জানিয়েছেন, যা কথা হবে সব এখন তাঁর আইনজীবী বলবেন। মিরপুরে আজ ৩২ বছর বয়সী বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘আমি বিসিবিতে যেই নোটিশ পাঠিয়েছি, সেটা আপনাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে আমার আইনজীবীর ফোন নাম্বারও দেওয়া আছে। আপনাদের কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন। যা কথা হবে, কালকে আইনজীবী বলবেন। আশা করি, কাল তিনি একটা সংবাদ সম্মেলন করবেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাব ইনশা আল্লাহ।’
২০২৫ বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে খেলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে বিজয় সবশেষ বিপিএলে ৩৯২ রান করেছিলেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় ছিলেন পাঁচে। ছন্দে থাকা বিজয় মাঝপথেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন।সেই রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজি পারিশ্রমিক সংক্রান্ত নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছিল অনেকবার। বারবার চেক বাউন্স করেছিল।
আরও পড়ুন: