পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা। তার আগে বড় দুঃসংবাদ শুনল লঙ্কানরা। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে কড়া শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন হাসারাঙ্গা।
গত বুধবার ডাম্বুলায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হারের পর আম্পায়ারের সমালোচনা করেন হাসারাঙ্গা। আম্পায়ার লিন্ডন হানিবলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে আম্পায়ারিং ছেড়ে অন্য চাকরি খুঁজতে।
সরাসরি হানিবলের নাম না বললেও লঙ্কান অধিনায়ক ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমনটা হওয়া উচিত নয়। যদি সেটা খুব কাছাকাছি থাকে (কোমর বরাবর উচ্চতা), সেটা সমস্যা নেই। কিন্তু যে বলটা উঁচু হয়ে যেতে থাকে...এটা তো ব্যাটারের মাথায়ও আঘাত করতে পারত যদি আরেকটু উঁচু হতো। যদি তেমনটা আপনি দেখতে না পান, তাহলে সেই আম্পায়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থাকার যোগ্যতা রাখেন না। যদি তিনি অন্য চাকরি খোঁজেন, তাহলে অনেক ভালো হবে।’
আইসিসি আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, আম্পায়ায়ের ব্যাপারে এমন অসৌজন্যমূলক কথা বলায় হাসারাঙ্গা আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.১৩ ভঙ্গ করছেন। ২৪ মাসের মধ্যে আরেকবার আচরণবিধির ভঙ্গ করায় তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে মোট পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট। এ কারণে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেলেন ২৬ বছর বয়সী তারকা। আম্পায়ারের সমালোচনা করায় ৩ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি ম্যাচ ৫০ শতাংশও কাটা গেছে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা বোলারদের তালিকায় দুইয়ে থাকা হাসারাঙ্গার। শাস্তি পেয়েছেন আফগান ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজও। একই ম্যাচে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ১ ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ কাটা গেছে তাঁর।
সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে আফগানদের দেওয়া ২১০ রান তাড়া করতে নেমে শেষ তিন বলে লঙ্কানদের দরকার ছিল ১১ রান। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে মিডল ও অফ স্টাম্পের মাঝামাঝি জায়গা বরাবর ফুলটস করেন আফগান পেসার ওয়াফাদার মোমান্দ। কামিন্দু মেন্ডিস এগিয়ে এসেও ব্যাটে বলের সংযোগ করতে পারেননি। এরপর স্কয়ার লেগ আম্পায়ার হানিবল সেটি ‘নো বল’ দেননি। যদিও ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, কামিন্দু এগিয়ে শট খেলতে গেলেও বলটা কোমর সমান উচ্চতার ছিল। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, বলটা নো বল ছিল। সেই কারণে পরে ক্ষোভ উগরে দেন হাসারাঙ্গা।