হোম > খেলা > ক্রিকেট

বাংলাদেশের কাছে হেরে ‘ভালোই শিক্ষা’ পেয়েছে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে বাংলাদেশ। ছবি: ক্রিকইনফো

পেন্ডুলামের মতো দুলছে ম্যাচ। দোহায় ওয়েস্ট এন্ড পার্ক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কখনো ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দিকে, কখনোবা ভারত ‘এ’ দলের দিকে হেলে পড়ছিল। সুপার ওভারের সুপার নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত জিতেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হারের পর দায় নিজের কাঁধে নিচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক জিতেশ শর্মা।

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালের নাটকীয়তার শুরু ভারতের ইনিংসের শেষ বলে। বাংলাদেশকে হারাতে ভারতের দরকার ছিল ৪ রান। উত্তেজনায় ঠাসা শেষ বলে বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক আকবর আলীর ভুলে ভারতের বাঁহাতি ব্যাটার হার্শ দুবে। ৩ রান নিলে ম্যাচ হয়ে যায় টাই। সুপার ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশি পেসার রিপন মন্ডলকে রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান জিতেশ শর্মা। পরের বলে আশুতোষ শর্মা ফিরলে ভারত কোনো রান না করেই অলআউট হয়ে যায় সুপার ওভারে। সেই ১ রান তাড়া করে জিততে বাংলাদেশ একটা উইকেটও হারিয়েছে।

নাটকীয় ঠাসা ম্যাচ সুপার ওভারে জিতে বাংলাদেশ কেটেছে ফাইনালের টিকিট। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক জিতেশ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দারুণ খেলা হয়েছে। আমাদের জন্য ভালো একটা শিক্ষা এটা। আমি সব দায় নিচ্ছি। সিনিয়র হিসেবে আমার খেলা শেষ করা উচিত ছিল।’

১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত মূল ম্যাচে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করেছে। তারা এত দূর যেতে পেরেছে বাংলাদেশের পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে। ৬ ও ১৬ রানে জীবন পাওয়া জিতেশ আউট হয়েছেন ৩৩ রান করে। ৩৩ রান করতে ভারতীয় অধিনায়ক জিতেশ খেলেছেন ২৩ বল। সুপার ওভারে আশুতোষ-জিতেশসহ ব্যাটিংয়ে নামেন রামানদীপ সিং। বাংলাদেশের কাছে সুপার ওভারে হারের পর জিতেশ বলেন, ‘শেষের দিকে আমি, আশু ও রামান ঝড় তুলতে পারি। সুপার ওভারে কারা ব্যাটিং করবে, সেটা আমার ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল।’

১৯৫ রানের লক্ষ্যে বৈভব সূর্যবংশীর তাণ্ডবে ৩.৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ভারত করে ৫৩ রান। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে সূর্যবংশীকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবদুল গাফফার সাকলাইন। ১৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন সূর্যবংশী। আরেক ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য্য করেন ২৩ বলে ৪৪ রান। সূর্যবংশী-প্রিয়াংশের প্রশংসা করে জিতেশ বলেন, ‘তারা পাওয়ার প্লেতে ভালো খেলতে পারে (সূর্যবংশী-প্রিয়াংশ)। বলা যায় না এই ছেলেরাই ভারতকে এক দিন বিশ্বকাপ এনে দেবে।’

রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশের স্কোর ১৮ ওভার শেষে ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪ রান। ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চলে শেষ দুই ওভারে। শেষ ১২ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান যোগ করে বাংলাদেশ। ভারতের মূল ম্যাচের ইনিংসে চারটি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ। জিতেশ তো দুইবার জীবন পেয়েছেন। নেহাল ওয়াধেরা ও আশুতোষ শর্মার ক্যাচও একবার করে ফেলেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। শেষ পর্যন্ত নাটকীয়তায় ঠাসা ম্যাচটি জিতে যায় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।

কাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান শোয়েব

পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশকে ‘ঘর’ মনে করেন শোয়েব

চোট নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে তাঁরা

চোটের কাছে হার মেনে ক্রিকেট ছাড়লেন ব্রেসওয়েল

বিপিএলের সিলেট পর্ব দেখেই বিশ্বকাপের দল দেবে বিসিবি

রেকর্ড গড়ে ১০ হাজারি ক্লাবে স্মৃতি মান্ধানা

১৩ দিনেই শেষ ৪ টেস্ট, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি ২০৫ কোটি

বিপিএল খেলেই পাকিস্তানে পরিচিত পেয়েছেন নাফি

শান্ত এবার ‘জবাব’ দিচ্ছে, বলছেন রাজশাহীর কোচ

মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে শরীফুল, এখন কী অবস্থা