হায়দরাবাদে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন শুভমন গিল। কিউই ফিল্ডারদের ভুলগুলো কাজে লাগিয়ে করলেন ডাবল সেঞ্চুরি।সবচেয়ে কম বয়সে ওয়ানডে ইতিহাসে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন গিল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে জুটি বেঁধে ইনিংস শুরু করেন গিল। শুরুতে ধীরস্থির ব্যাটিং করতে থাকেন গিল। এই স্তিতধী ব্যাটিং করার পথে একবার জীবনও পেয়েছিলেন তিনি। ১৯ তম ওভারের প্রথম বলে গিলকে আউট করার সুযোগ তৈরী করেছিলেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। তবে স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন টম লাথাম। ভারতীয় এই ওপেনারের তখন রান ছিল ৪৫। নিউজিল্যান্ড উইকেটরক্ষকের ভুলের পর আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি গিলকে। ৮৭ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। যা এই ভারতীয় এই ওপেনারের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরির পর আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন গিল। নিউজিল্যান্ডের ফিল্ডাররাও করতে থাকেন একের পর একের ভুল। সুযোগগুলো লুফে নিয়ে ১২২ বলে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ। আর ৪৯ তম ওভার করতে আসা লকি ফার্গুসনকে হ্যাটট্রিক ছক্কা মেরে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন ভারতীয় এই ওপেনিং ব্যাটার। ওয়ানডে ইতিহাসের দশম ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেল আজ হায়দরাবাদে।
২৩ বছর ১৩২ দিন বয়সে কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে আজ ডাবল সেঞ্চুরি করলেন গিল। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ইশান কিষানের। চট্টগ্রামে গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৪ বছর ১৪৫ দিন বয়সে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ইশান। তার আগে ২০১৩ সালে ২৬ বছর ১৮৬ দিন বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রোহিত শর্মা।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ভারতীয় ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান এখন গিলের। এর আগে এই রেকর্ড ছিল শচীন টেন্ডুলকার। ১৯৯৯ এর ৮ নভেম্বর হায়দরাবাদে ১৮৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন টেন্ডুলকার।