পূর্বাচলে নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামে মাটি চুরির অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের পর আজ পূর্বাচল পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি চান বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
দরদাতা প্রতিষ্ঠান উইন্ডস্টার রিসোর্স কাছ থেকে ২০ হাজার বর্গফুট মাটি বুঝে পাওয়ার কথা ছিল বিসিবির। সেখানে ৭ হাজার বর্গফুট মাটি বুঝে পেয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে ১৪ লাখ টাকারও কম মাটি পেয়েছে বিসিবি। এর পেছনে কারা জড়িত সেটা বের করতে তদন্তের পথে এগোচ্ছেন পাইলট।
সাংবাদিকদের পাইলট বলেন, ‘প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট মাটি এখানে আসার কথা, কিন্তু মাটি মেপে দেখা গেছে সাড়ে ৭ হাজার বর্গফুটের মতো মাটি আছে এখানে। আমাদের আসার আগে এই ঘটনা। খুব দ্রুত তদন্ত করতে চাই। মাটিটা এখনই ব্যবহার করতে চাই না। এই মাটি ব্যবহার করতে ডকুমেন্টস থাকবে না। এখানে অনেক নিম্নমানের মাটি আছে। এই কমিটিতে হয়তো একজন-দু’জন আমাদের ডিরেক্টর থাকবেন, আর বাইরের একজন-দু’জন থাকবেন যারা গোয়েন্দা সংস্থার লোক। আমি মনে করি, এমন মানুষ রাখব যারা এসব ধরনের কাজ করতে অভ্যস্ত। তো তিন সদস্যের একটা কমিটি করব-এটাই আমার পরিকল্পনা। আমি প্রেসিডেন্ট মহোদয়কে তা দেব এবং জানাবো যেন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে বিষয়টির তদন্ত করা হয়।’
তদন্ত শেষে দোষীদের বিচার চান পাইলট, ‘মাটি সংক্রান্ত যে জটিলতা আছে তার সুন্দর সমাধান এবং বিচার হওয়া দরকার। তার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে। কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা জানতে পারব। কে স্বাক্ষর করেছে, কেনো করেছে, তা দেখতে চাই।’