টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘অভিষেকটা’ ঠিক রাঙাতে পারল না নামিবিয়া। ‘এ’ গ্রুপে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে কোনো পাত্তাই পেল না বিশ্বকাপের নবাগত দলটি। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের কাছে তারা হেরেছে ৭ উইকেটে। এই জয়ে ভালোভাবেই নিজেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল দাসুন শানাকার দল।
নামিবিয়ার দেওয়া ৯৭ রানের লক্ষ্যটা ৩৯ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তবে পাওয়ার প্লের ছয় ওভারের মধ্যে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুটা ভালো করতে পারেননি কুশন পেরেরা-দিনেশ চান্দিমালরা। প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিয়ে দলকে জয়ের রাস্তা দেখান আভিস্কা ফার্নান্দো আর ভানুকা রাজাপক্ষে। এই দুইজনের অপরাজিত ৭৪ রানের জুটিতে সহজেই লক্ষ্যে পোঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ২৭ বলে দুই ছক্কা আর চার চারে ৪২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাজাপক্ষে। ২৮ বলে দুই ছক্কায় ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন আভিস্কা।
এর আগে টস জিতে নামিবিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। তবে শ্রীলঙ্কান বোলারদের সামনে বেশি সুবিধা করতে পারেননি নামিবিয়ান ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয় তারা। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারের মধ্যে দুই ওপেনার স্টিভেন বার্ড (৭) আর জেইন গ্রিন (৮) হারিয়ে শুরু করে বিশ্বকাপের নবাগত দলটি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হার ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক জেরহার্ড এরাসমাস আর তিন নম্বরে নামা ক্রেইগ উইলিয়ামস। তবে দলীয় ৬৮ রানে শ্রীলঙ্কান পেসার লাহিরু কুমারার বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জেরহার্ড (২০)। জেরহার্ডের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি নামিবিয়ান ব্যাটাররা। ৬৮ রানের সঙ্গে আর মাত্র ২৮ রান করে বাকি ৭ উইকেট হারায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন উইলিয়ামস। ২৯ রান করতে অবশ্য ৩৬ বল খেলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২৫ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন অফ স্পিনার মহেশ তিকশানা। দুইটি করে উইকেট নেন পেসার কুমারা আর লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা।