স্বীকৃত ব্যাটাররা ততক্ষণে ড্রেসিংরুমে। উইকেটে তখন দুই টেলএন্ডার নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। নিজেদের রেকর্ড ভাঙতে তখন ৫২ রান দরকার হলেও রানা-হাসান মাহমুদের জন্য একেবারে কঠিন ছিল না। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ সিলেটে ১২ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙার কাছাকাছি গিয়েও সুযোগটা কাজে লাগাল না বাংলাদেশ।
টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের সর্বোচ্চ ৬৩৮ রান বাংলাদেশ করেছিল ২০১৩ সালে। ১২ বছর আগে গলে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরির (২০০) পাশাপাশি মোহাম্মদ আশরাফুল (১৯০) ও নাসির হোসেনের (১০০) জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। এক যুগ পর সিলেটে বাংলাদেশ নিজেদের রেকর্ড প্রায় ভেঙেই ফেলেছিল। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। স্বাগতিকেরা পেয়েছে ৩০১ রানের লিড।
প্রথম ইনিংসে ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। মাহমুদুল হাসান জয়ের সামনে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। সেঞ্চুরি হাতছানি দিচ্ছিল মুমিনুল হককেও। কিন্তু কোনোটির কিছুই হয়নি। লাঞ্চের আগেই জয় (১৭১) ও মুমিনুল হকের (৮২) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই সেট ব্যাটারের উইকেট হারানোর পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমের (২৩) উইকেটও লাঞ্চের আগে হারায় স্বাগতিকেরা। ১১১ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪৭ রানে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করে শান্তর দল।
লাঞ্চের পরই শান্ত গড়ে ফেলেন রেকর্ড। ১১২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে সেটা চতুর্থ। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যৌথভাবে সর্বোচ্চ চারটি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন মুশফিক ও শান্ত। তবে রেকর্ড গড়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ১১৪ বলে ১৪ চারে ১০০ রান করার পর বাংলাদেশ অধিনায়ককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ব্যারি ম্যাকার্থি। শান্তর মতো ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেছেন লিটন দাসও। ৬৬ বলে ৬০ রান করে আউট হয়েছেন লিটন।
বাংলাদেশের ইনিংসে চারটি সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল। কিন্তু সাদমান ইসলাম (৮০) ও মুমিনুল (৮২) ৮০-এর ঘরে আউট হয়ে যাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। আয়ারল্যান্ডের ম্যাথু হামফ্রিস ৪৩ ওভারে ১৭০ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। টেস্টে এই নিয়ে দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।