দুই ওয়ানডে হেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টি আইনে ১৭ রানে এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানের জয় পেয়েছে আফগানরা।
সামনেই এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট রয়েছে। এর আগে র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে এমন হার বাংলাদেশ দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সহকারী কোচ নিক পোথাসের কাছে ব্যাপারটি এ রকম কিছু নয়। মাত্র দুটি হার দিয়ে বাংলাদেশ দলকে মাপতে নারাজ এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ।
কাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে লড়বে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে পোথাস বলছেন, ‘শেষ দুই ম্যাচে ওদের পারফরম্যান্সের কথা বলা হচ্ছে। এটাই আসলে মূল ব্যাপার। সবাইকে এটা ভুললে হবে না আমরা বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের দুই ম্যাচের ফলে মাপছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি আগে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওরা কী করেছে।’
লম্বা সময়ের পারফরম্যান্স হিসাব করেই বাংলাদেশ দলকে মাপতে বললেন পোথাস, ‘আমাদের উচিত ওদেরকে লম্বা সময়ের জন্য মাপা। এখানে সবাই দ্রুত ফল চায় কিন্তু ক্রিকেটে ফলটা লম্বা সময়ে আসে। তাই ক্রিকেটারদের লম্বা সময়ের ফলে মাপা উচিত।’
দুই ওয়ানডেতেই আফগানিস্তানের স্পিনারদের বিপক্ষে কোনো দৃঢ়তাই দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও মোহাম্মদ নবির বোলিংয়ের বিপক্ষে ওভারপ্রতি ইকোনমি রান রেট তো ৩-এর নিচেই ছিল। তাই বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের সহজ স্বীকারোক্তি, ‘আমি যদি সৎভাবে উত্তর দিই—আফগান স্পিন আক্রমণ পৃথিবীর সেরা স্পিন আক্রমণ। এটা একটা ফ্যাক্ট। ওরা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলে। ব্যাপারটা এমন, যেকোনো অধিনায়কের জন্য এটা স্বপ্ন এমন একটা স্পিন আক্রমণ পাওয়া। তিনি যাঁকে বল দিচ্ছেন সেই বোলারই তাঁর মনমতো কাজ করে দিচ্ছেন। এটা অসাধারণ।’
এখান থেকেও অবশ্য শেখার ব্যাপার দেখছেন পোথাস, ‘টেকনিকের দিক থেকে যদি বলি, চ্যালেঞ্জটা এসেছে এই সিরিজে, এটা আমাদের জন্য খুব বড় সুবিধা হয়েছে। যখন আপনি এই পর্যায়ের স্পিনের মুখোমুখি হবেন, এর মানে আপনি যেকোনো স্পিন আক্রমণ খেলতে পারবেন।’