রহস্যময় ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার চার দিন পর আজ রুমানা আহমেদকে ডেকেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত ৫ আগস্ট রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী দলের এই অলরাউন্ডার পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘নো মোর ক্রিকেট।’ যার অর্থ দাঁড়ায় ‘আর ক্রিকেট নয়’।
তিন মাস আগে শ্রীলঙ্কা এবং গত মাসে নিজেদের মাঠে ভারত সিরিজে দল সুযোগ পাননি রুমানা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষ দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। তখন বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক এই অধিনায়ক দাবি করেছিলেন, তাঁকে বাদই দেওয়া হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
এবার তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই পোস্ট দিলেন। তবে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ একজন ক্রিকেটারকে আচরণবিধির ব্যাপারটিও দেখতে হয়। যেকোনো সমস্যায় বোর্ড সব সময় তাঁদের জন্য উন্মুক্ত, সেটি আজ আবারও রুমানাকে আলোচনায় মনে করিয়ে দিল বিসিবি।
বৈঠকের পর বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম নাদেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড–আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
বৈঠকে নাদেলসহ ছিলেন নারী দলের নির্বাচকেরা। খোলামেলা আলোচনায় রুমানাও জানতে চেয়েছেন তাঁর অবস্থান কী? এর উত্তর দিয়েছেন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। নাদেল বলেন, ‘এমনিতে তার পজিশনটা কি, সে এটা জানতে চেয়েছে। সেখানে আমরা ছিলাম, নির্বাচকেরা ছিলেন। তারা ও আমরা রুমানার যে প্রশ্ন ছিল সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাকে বলেছি, কামব্যাক করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে। আমরা তাকে সহায়তা করতে চাই। তার যদি আলাদা কোনো কোচিং স্টাফও লাগে আমরা সেটাও তাকে দেব। কামব্যাক করতে হলে তাকে চেষ্টা করতে হবে।’
একজন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের প্রটোকল রয়েছে। আচরণবিধির ব্যাপারটিও রুমানাকে বুঝিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। নারী বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আমার তাকে বলেছি, সে তো চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। সে এটা করতে পারে না। কোড অব কন্ট্রাক্টটা কি আমরা তাঁকে বুঝিয়েছি।’