দরজায় কড়া নাড়ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। আগামী ২৬ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংস-কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে অর্থের ঝনঝনানির ১৫ তম আসর।
১১ বছর পর দশ দল নিয়ে হবে আইপিএল। নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি যুক্ত হওয়ায় বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। সম্প্রচার স্বত্ব থেকে তাই আরও বেশি আয়ের সুযোগ পাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
২০০৮ সালে উদ্বোধনী আসর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব ছিল সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কের হাতে। ১০ মৌসুমে বিজ্ঞাপন থেকে সনি আয় করে ১৩৭ কোটি টাকারও বেশি। এর আগেই আইপিএল ভারতে প্রধান টেলিভিশন সম্পদে পরিণত হয়। ফলে টুর্নামেন্টের টিভি স্বত্ব কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সনির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টস। একপর্যায়ে সফলও হয় তারা।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সনি পিকচার্স নেটওয়ার্ককে সরিয়ে পাঁচ মৌসুমের জন্য স্টার স্পোর্টসকে টিভি স্বত্ব দেয় বিসিসিআই। স্টারের সঙ্গে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন বোর্ডের মেয়াদ ফুরোচ্ছে এ মৌসুম শেষে। এরপর নতুন করে স্বত্ব বিক্রি করবে বোর্ড। চটজলদি দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি দিতে যাচ্ছে তারা। নতুন চুক্তিতে আয় অনেক বেশি আয় হবে বলে আশাবাদী বিসিসিআই।
২০১৮ থেকে ২০২১ মৌসুমে বিসিসিআইকে ৬৮ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে স্টার স্পোর্টস। এ মৌসুমে দুটি দল বাড়ায় অতিরিক্ত ২২ হাজার কোটি টাকা দেবে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩ মৌসুম থেকে নতুন চুক্তিতে টেলিভিশন স্বত্ব থেকে আয় দ্বিগুণ হতে পারে বলে মনে করছে বিসিসিআই।
গত বছরের অক্টোবরে দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কথা থাকলেও গড়িমসি করছে বিসিসিআই। অভিযোগ উঠেছে স্টার স্পোর্টসের চাপে সময়মতো কাজ করতে পারছে না বোর্ড। তবে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়ে স্টারের কোনো আপত্তি নেই। দ্রুতই প্রকাশ হবে।
এবার স্টার স্পোর্টস ও সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কের পাশাপাশি বিড করতে পারে রিলায়েন্স ও আমাজন প্রাইম ভিডিও।