মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ‘ট্রফি কালেক্টর’ বললেও হয়তো বাড়াবাড়ি হবে না। অধিনায়ক ধোনির ক্যাবিনেটে যোগ হচ্ছে একের পর এক শিরোপা। সবচেয়ে সফল ক্রিকেট অধিনায়ক ধোনিই কি না, তা নিয়ে এখন চলছে নিয়মিত আলোচনা।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মৌসুমের শিরোপা ভারত জিতেছে তাঁর অধিনায়কত্বেই। জোহানেসবার্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে ধোনির ক্রিকেট মস্তিষ্কের প্রশংসা শোনা যায় আজও। ঠিক তিন বছর পর ভারতের ক্যাবিনেটে আরও একটি শিরোপা আসে ধোনির নেতৃত্বেই। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ২০১০ এশিয়া কাপ জিতেছে ভারত। এক বছর পর আরও এক ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত-শ্রীলঙ্কা। এবারের ভেন্যু ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, উপলক্ষ্য ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। নুয়ান কুলাসেকারাকে ধোনির ছক্কা মারার পরই ধারাভাষ্যকক্ষে রবি শাস্ত্রী বলে উঠলেন, ‘ধোনি ফিনিশেস অব ইন স্টাইল। ইন্ডিয়া লিফট দ্য ওয়ার্ল্ড কাপ আফটার টোয়েন্টি এইট ইয়ার্স।’ ২৮ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার আনন্দে সেদিন ভারতে অনেকেরই চোখের জল যেন থামছিলই না।
ওয়াংখেড়ে থেকে এজবাস্টন, মাঝে কেটে গেছে দুই বছর। ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত এবার ২০১৩-এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি। স্বাগতিকদের হারিয়ে এই টুর্নামেন্টও জিততে যায় ভারত। আইসিসি ইভেন্ট, এশিয়া কাপ, আইসিসি ইভেন্ট, এশিয়া কাপ—এই চক্র আবার পূরণ হয় ২০১৬ সালে। এবার এশিয়া কাপ হয় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। মিরপুরে বাংলাদেশকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ধোনির ভারত। এ ছাড়া ভারত-অস্ট্রেলিয়া বিখ্যাত বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি ভারতীয় এই অধিনায়ক জিতেছেন তিনবার।
ধোনির অধিনায়কত্বে যত মেজর শিরোপা:
ভারতের হয়ে শিরোপা:
ওয়ানডে বিশ্বকাপ: ২০১১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ: ২০০৭
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি: ২০১৩
এশিয়া কাপ: ২০১০, ২০১৬
বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি: ২০০৮, ২০১০, ২০১৩
চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে শিরোপা:
আইপিএল: ২০১০, ২০১১, ২০১৮, ২০২১, ২০২৩
চ্যাম্পিয়নস লিগ: ২০১০, ২০১৪