সেঞ্চুরিয়নে আগে ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহই দাঁড় করায় বাংলাদেশ। বোলিংয়ে শুরুটাও দুর্দান্ত করেন তাসকিন আহমেদ-শরীফুল ইসলামরা। পাওয়ার প্লেতে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটারকে ফেরান এ দুই পেসার। চাপে পড়ে যাওয়া স্বাগতিকদের হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও রাশি ফন ডার ডুসেন।
উইকেটে থিতু হয়ে স্পিনারদের ওপর চড়াও হন বাভুমা আর ডুসেন। বিশেষ করে অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের ওপর দিয়ে ঝড়টা বেশি যায়। ইনিংসের ২০তম ওভারে মিরাজকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নিজের প্রথম ৪ ওভারে ৩৮ রান দেন মিরাজ। এমন অবস্থায় মিরাজের বোলিং কোটা পূরণের বিকল্প হিসেবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও বাজিয়ে দেখেন তামিম।
তবে নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল মিরাজের। অধিনায়ক তামিমের কাছ থেকে তাই বল চেয়ে নেন তিনি। হতাশ করেননি মিরাজ, আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন দারুণ দক্ষতায়। ৪ উইকেট শিকার করে দলের জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। তাইতো ম্যাচ শেষে তামিমের কণ্ঠে মিরাজের প্রশংসা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘‘সব দলে মিরাজের মতো চরিত্র থাকা দরকার। প্রথম ৪ ওভারে ৪০ রান (আসলে ৩৮) দেওয়ার পর সে আমার কাছে এসে বলল, ‘আমাকে বল দেন, ম্যাচ ঘুরিয়ে দেব।’ সে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল।’’
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তাই মিরাজকেও ম্যাচ-সেরার স্বীকৃতি দেন তামিম। মিরাজকে নিয়ে তামিম আরও বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের নিজেদের ওপর বিশ্বাস অধিনায়কের কাজ সহজ করে দেয়। সব সময় হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসবে না, কখনো বিপক্ষেও যেতে পারে। তবে আমি খুব খুশি যে আত্মবিশ্বাসটা তার মধ্যে আছে।’