পাকিস্তানের তিনি প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের এর চেয়েও বড় পরিচয়, তিনি পাকিস্তানকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক। মাঠের খেলায় হৃদয় ভাঙলে কতটা কষ্ট লাগে, সেটা তো তারও ভালো জানা।
সুপার টুয়েলভের একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে সেমিফাইনালে খেলেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফেবারিটও ছিল বাবর আজমের দল। ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রান তোলার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটাও ছিল পাকিস্তানিদের হাতে। কিন্তু মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েডের ধ্বংসযজ্ঞে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল আর খেলা হলো না ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
শেষ চারে হারে পর বাবর আজমদের মনে কী বয়ে চলছে সেটা ভালোই জানা ইমরান খানে। তর্কাতীতভাবে পাকিস্তানের সেরা অধিনায়ক তিনি। মাঠে নিজের হৃদয় ভাঙার অভিজ্ঞতা থেকেই বাবর-রিজওয়ানদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন ইমরান। টুইটারে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘বাবর আজম আর তাঁর দলকে বলছি: আমি জানি তোমাদের মনে এখন কী চলছে। তোমাদের মতো আমিও মাঠে এমন দুঃখ পেয়েছি। তবে তোমরা যা করেছ, জয়ের পর যে বিনয় দেখিয়েছ সে জন্য তোমাদের গর্ব করা উচিত।’
দুবাইয়ে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল ম্যাচটা দলবল নিয়ে দেখেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের হারে কষ্ট পেলেও অস্ট্রেলিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতেও ভুল করেননি ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।