শুরুতেই ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের পেসাররা। ৬৬ রানেই প্রথম চার ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফেরান শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ। পঞ্চম উইকেটে চাপ সামলে দলের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে অবদান রাখেন ইশান কিশান ও হার্দিক পান্ডিয়া।
ইশান ও পান্ডিয়াও শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছেন পাকিস্তানের পেস বোলারদের কাছেই। তার আগে অবশ্য ১৪১ বলে ১৩৮ রানে দারুণ এক জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দুজনই ফিরেছেন সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে। ৮২ রান করে হারিস রউফের শিকার হয়ে ফেরেন ইশান। ৯০ বলে ৮৭ রান করে পান্ডিয়া আউট হন শাহিনের বলে।
ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে এশিয়া কাপে রীতিমতো ইতিহাসই গড়লেন পাকিস্তানের তিন পেসার। ১০ উইকেটেই নিয়েছেন তাঁরা। শাহিন শিকার চারটি, তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন নাসিম ও রউফ। এশিয়া কাপে এটাই প্রথম ঘটনা, কোনো ম্যাচে এক ইনিংসে পেসাররা ১০ উইকেটের সবগুলোই নিলেন।
ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে শুরুতে তোপ দাগেন শাহিন। শুরুতে ঝুলিতে পুরলেন দুই অভিজ্ঞ টপ অর্ডার ব্যাটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া ও রবিন্দ্র জাদেজাকেও ফেরান পাকিস্তানের এই বাঁহাতি পেসার। সব মিলিয়ে ১০ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নতুন এক মাইলফলকেও পা রাখলেন শাহিন। ওয়াকার ইউনিস ও সাকলাইন মুশতাকের পরে তৃতীয় পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০ উইকেট পেলেন তিনি। ২৪ বছর হওয়ার আগে সব মিলিয়ে ৭ম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন শাহিন।
নাসিম ৮.৫ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে শার্দুল ঠাকুর, কুলদীপ যাদব ও জসপ্রিত বুমরাহকে ফেরান। ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে রউফের শিকার শুবমান গিল, শ্রেয়াশ আয়ার ও ইশান কিশান।