শুরুর আগেই দুঃসংবাদ শুনল পাকিস্তান। পাঁজরের চোটে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আজ তারা পাচ্ছে না ছন্দে থাকা ইমাদ ওয়াসিমকে। স্বাগতিকদের জন্য সেটি অবশ্য স্বস্তির খবর। যদিও অভিজ্ঞতা আর শক্তি-সামর্থ্যের বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে যোজন এগিয়ে পাকিস্তান।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ৬ নম্বরে, যুক্তরাষ্ট্র ১৮ নম্বরে। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে শুধু র্যাঙ্কিং দিয়ে বিচার করাও সুবিচার হবে না। কদিন আগে মার্কিনরাই তো আইসিসির পূর্ণ সদস্য বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে সেটি প্রমাণ করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে শুরুটাও তারা রাঙিয়েছে অসাধারণ জয়ে। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডার ১৯৪ রান যুক্তরাষ্ট্র অনায়াসে টপকেছে ১৪ বল হাতে রেখে।
সেই জয়ের পর হুংকার ছেড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল, ‘আমরা যেভাবে খেলে এসেছি, সামনের ম্যাচেও সেভাবেই খেলতে চাই। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাই।’
ডাকাবুকা ক্রিকেটই যাঁদের মন্ত্র, তাঁদের নিয়ে সতর্ক না হয়ে উপায় কী! বেশ সতর্ক পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘কদিন আগে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে প্রমাণ করেছে, তারা এখানে থাকার যোগ্য। আত্মতুষ্ট না হয়ে আমরা তাদের প্রাপ্য সম্মান দেব।’
পাকিস্তানকে বলা হচ্ছে চলতি বিশ্বকাপের ‘কালো ঘোড়া’। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একবারের চ্যাম্পিয়ন ও দুবারের রানার্সআপ তারা। এবার বাবরের চোখ শিরোপায়, ‘এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যক্তিগত কোনো মাইলফলক নেই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।’ ইমাদকে নিয়ে বললেন, ‘সে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারছে না। আশা করছি পরের ম্যাচগুলো খেলতে পারবে। আশাবাদী কন্ডিশন শাদাবের সঙ্গে মানানসই হবে।’
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া ম্যাচটিই হবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ।