বিয়ের আগেই হয়েছে ফুলশয্যা, থাকেন এক ছাদের নিচে, রয়েছে সন্তান। তবু তাঁরা অবিবাহিত। অস্ট্রেলিয়ার সমাজে এমন ঘটনা অহরহ দেখা যায়।
প্যাট কামিন্সকেও পরিস্থিতি এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছিল। খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এত দিন বিয়ের সময়টাই বের করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক। এবার ছুটি মিলতেই চটজলদি শুভকাজটা সেরে ফেলেছেন তিনি। গতকাল দীর্ঘদিনের বান্ধবী ও বাগদত্তা বেকি বোস্টনকে বিয়ে করেছেন কামিন্স। নবদম্পতির ৯ মাস বয়সী ছেলেসন্তান রয়েছে। নাম আলবোন।
বিয়ের ছবি গতকাল নিজেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন কামিন্স। লিখেছেন, ‘এইমাত্র বিয়ে করলাম।’ অনাড়ম্বরভাবে হয়েছে কামিন্স-বেকির বিয়ে। হাতেগোনা কজন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু তাঁদের বিয়েতে হাজির ছিলেন। ২৯ বছর বয়সী কামিন্স অনুষ্ঠানে কালো ট্রাউজার ও ব্লেজার পরেছিলেন। ৩২ বছর বয়সী বেকি সেজেছিলেন সাদা গাউনে।
নতুন জীবনে পদার্পণে কামিন্সকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ), তাঁর আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও ভক্তরা।
কামিন্সের সঙ্গে বেকির সম্পর্ক বেশ পুরোনো। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে একে অপরকে চেনেন। দুজন একসঙ্গে থাকেন ২০১৪ সাল থেকে। এই জুটি যেন অ্যাশেজের আড়ালে আইভো ব্লাই-ফ্লোরেন্স মরফির অমর প্রেমকাহিনিকে নতুন করে মনে করিয়ে দিয়েছে।
বেকি পেশায় নকশাকার। বাড়ির অভ্যন্তরীণ অংশ নকশা করেন তিনি। শুধু তাই নয়। একটি খামারও আছে প্রাণিপ্রেমী বেকির। কামিন্সকে উৎসাহ দিতে প্রায়ই মাঠে যান তিনি।
২০১৯ সালে আইসিসি বর্ষসেরা টেস্টে ক্রিকেটার হওয়ার পর বেকিকে নিজের প্রেমিকা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন কামিন্স। পরের বছর অনামিকায় আংটি পরান। কামিন্স বেকিকে একটি পিকনিক স্পটে নিয়ে গিয়ে শ্যাম্পেনের বোতল বের করেন এবং হাঁটু গেড়ে বসে ফিল্মি স্টাইলে প্রস্তাব দেন।
গত বছরের এপ্রিলে ঘরে নতুন সদস্য আসার খবর দেন কামিন্স। ওই বছরের ৮ অক্টোবর জন্ম নেয় ছেলে আলবোন। বাকি ছিল শুধু বিয়ে। এবার সেই চক্রও পূরণ করলেন কামিন্স।