প্রথম দল হিসেবে এশিয়া কাপের সুপার ফোর থেকে বিদায় নেয় শ্রীলঙ্কা। ৩ ম্যাচের সবকটিতে হেরেছে তারা। তবে বাংলাদেশের কাছে হারটি সবচেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে দলটির প্রধান কোচ সনাথ জয়াসুরিয়াকে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত উত্তেজনায় ঠাঁসা ম্যাচটিতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। ১ বল হাতে রেখে তাদের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লিটন দাসের দল। শেষ চারে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারে লঙ্কানরা। তার পরদিন ভারতের কাছে বাংলাদেশ হারতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় চারিত আসালাঙ্কাদের। গতকাল সূর্যকুমার যাদবদের বিপক্ষে সান্ত্বনার জয়টাও পায়নি শ্রীলঙ্কা। সুপার ওভারে হেরে গেছে তারা। তার আগে ভারতের করা ২০২ রানের জবাবে সমান রানে থামে দলটির ইনিংস।
সুপার ফোর থেকে খালি হাতে ফিরলেও বাংলাদেশের কাছে হারের স্মৃতি বেশি পোড়াচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। সংবাদ সম্মেলেন জয়াসুরিয়া বলেন, ‘সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য হতাশাজনক ছিল। ওই পিচে ১৬৮ রান ভালো স্কোর ছিল। কিন্তু আমরা তা রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট ভালো বোলিং করতে পারিনি। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা কন্ডিশনের মূল্যায়ন করে খেলতে পারিনি। ছেলেরা মানিয়ে নিতে দেরি করেছে।’
সুপার ফোরে থেকে বিদায় নেওয়ায় বেশ হতাশ জয়াসুরিয়া। যদিও শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন সাবেক এই ক্রিকেটার, ‘২০০ রানের বেশি করার জন্য ভারতের ব্যাটাররা খুব ভালো খেলেছে। আমাদের ছেলেরা দেখিয়েছে যে তারা সেই রান তাড়া করতে সক্ষম। কিন্তু আবারও আমরা পিছিয়ে পড়েছি। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি বাদ দিলে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট। একই সঙ্গে ফাইনালে না যেতে পারায় আমরা হতাশ।’
এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলেও শ্রীলঙ্কার বর্তমান দল নিয়ে আশাবাদী জয়াসুরিয়া, ‘আমাদের ভালো মানের ব্যাটার এবং বোলার আছে। মূল কথা হলো কন্ডিশন এবং প্রতিপক্ষের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। যদি আমরা ধারাবাহিকভাবে তা করি, তাহলে এই দল অনেক দূর যেতে পারব।’