২০২৩ সাল যেন প্যাট কামিন্সের জন্য সোনায় মোড়ানো এক বছর। তাঁর নেতৃত্বে আইসিসি ইভেন্টের দুটি শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে অ্যাশেজ ড্র, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়—এই দুই সাফল্যও অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে গত বছর। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আইসিসির গত বছরের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন কামিন্স।
আইসিসি আজ একসঙ্গে বেশ কিছু পুরস্কার ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে ২০২৩-এর স্যার গারফিল্ড সবার্স ট্রফি পুরস্কার জিতেছেন কামিন্স। বর্ষসেরা হওয়ার দৌড়ে কামিন্স হারিয়েছেন বিরাট কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা ও ট্রাভিস হেডকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছর কামিন্স ২৪ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৫৯ উইকেট। যার মধ্যে ১১ টেস্টে নিয়েছেন ৪২ উইকেট। টেস্টে ২০২৩ সালে তা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কামিন্সের চেয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে গত বছর সবচেয়ে বেশি ৪৭ উইকেট ছিল নাথান লায়নের। ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচ খেলে কামিন্স নিয়েছেন ১৭ উইকেট। যার মধ্যে ফাইনালে নিয়েছেন ভারতের দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার ও বিরাট কোহলির উইকেট। ব্যাটিংয়ে কামিন্স গত বছর ২১.১ গড়ে করেছেন ৪২২ রান।
আইসিসির ২০২৩ সালের ওয়ানডের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন কোহলি। ভারতীয় ব্যাটার গত বছর ২৭ ওয়ানডেতে করেছেন ১৩৭৭ রান। গড় ৭২.৪৭ ও স্ট্রাইকরেট ৯৯.১৩। গত বছরের সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরি করেন কোহলিই। ৭৬৫ রান করে ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পেয়েছেন। ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫০ সেঞ্চুরি, কোনো নির্দিষ্ট বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান—দুই রেকর্ডেই কোহলি ছাড়িয়ে যান শচীন টেন্ডুলকারকে।
মেয়েদের ক্রিকেটে গত বছরের বর্ষসেরা রাচায়েল হেইহো ফ্লিন্ট পুরস্কার নাটালি সাইভার ব্রান্ট। টানা দ্বিতীয়বার নারীদের ক্রিকেটে বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন ইংল্যান্ডের এই নারী ক্রিকেটার।