এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের ((ইউএসএসি) কার্যক্রম পর্যালোচনা ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আইসিসি ভার্চুয়াল বোর্ড সভায় গতকাল গৃহীত এ সিদ্ধান্তের ভিত্তি ছিল কার্যকর শাসন কাঠামো গড়ে তুলতে ব্যর্থতা, যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনে অগ্রগতি না হওয়া, এবং যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের সদস্য পদ স্থগিতের সিদ্ধান্তটাকে অনিবার্য কিন্তু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে আইসিসি। ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই এটির দরকার ছিল মনে করে বিশ্ব ক্রিকেট ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে ক্রিকেটাররা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটি মাথায় রেখে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দল আইসিসি টুর্নামেন্টে খেলার খেলতে পারবে এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের প্রস্তুতিও নিতে পারবে। অর্থাৎ সদস্যপদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত তাদের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অংশগ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলবে না। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট দল অংশ নিতে পারবে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকেও।
আইসিসির নতুন সিদ্ধান্তের যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন দেখভাল করবে আইসিসি বা তাদের মনোনীত প্রতিনিধি, যাতে খেলোয়াড়রা নিয়মিত সহায়তা পান এবং অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তির প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত না হয়।
জুলাইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটকে তিন মাস সময় দিয়েছিল সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন এবং প্রশাসনিক সংস্কার করার জন্য। সেই সময় বোর্ডকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, সংস্কারের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে আইসিসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে নির্ধারিত সময় পেরোলেও প্রত্যাশিত পরিবর্তন না আসায় সদস্যপদ স্থগিতের শাস্তি যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটকে।