ইনিংস ওপেন করতে নেমে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখছিলেন ইমরুল কায়েস। তবে অন্য প্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক। তাঁর মতো সেঞ্চুরি পেয়েছেন সতীর্থ আরিফুল ইসলামও।
দুজনের সেঞ্চুরিতে ৮৪ রানের জয় পেয়েছে মোহামেডান। টানা দ্বিতীয় জয়ের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ২৬৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল তারা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৮২ রানের বেশি করতে পারেনি রূপগঞ্জ টাইগার্স। ওপেনিংয়ে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেছেন মাহফিজুল ইসলাম রবিন। প্রতিপক্ষ রূপগঞ্জকে অল্পতে বেঁধে রাখতে শুরুতেই ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন ৪ উইকেট পাওয়া আবু হায়দার রনি। পরে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন ৩ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় মোহামেডান। অধিনায়ক ইমরুলকে রেখে একে একে আউট হন মোহামেডানের তিন ব্যাটার রনি তালুকদার, মাহীদুল ইসলাম অঙ্কন ও রুবেল মিয়া। ৫২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছিল ঠিক তখনই আরিফুলকে নিয়ে ম্যাচের হাল ধরেন ইমরুল। শুধু হালই ধরেননি দলকে চতুর্থ উইকেটে ১৭৬ রানের জুটি গড়ে বড় সংগ্রহও এনে দেন তাঁরা। দুজনে সেঞ্চুরিও তুলে নেন।
১২৭ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৬ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ১৩তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইমরুল। অন্যদিকে সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আরিফুল ১০৬ বলে ১১৫ রান করেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছেন ৪ ছক্কা ও ৯ চারে।
অন্যদিকে বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠেও রানের দেখা পাওয়া যায়নি। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩০ রানেই অলআউট হয় পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করে করেন আজমির আহমেদ ও মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম। প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকাতে ৪ উইকেটে নিয়ে গাজী গ্রুপের সেরা বোলার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন ৩ উইকেট নেওয়া পেসার জয়নুল ইসলাম। ১৩১ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গাজী গ্রুপও ৫ উইকেটে হারিয়ে বসে। তবে তিনে নেমে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী মারুফ।