চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়াম আজ সত্যিকার অর্থেই তামিমময়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ে পাঁচ ক্যাচ নিয়ে তানজিদ হাসান তামিম গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত তামিম তাণ্ডব চালিয়েছেন আইরিশ বোলারদের ওপর। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও মজা করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি ব্যাটার।
আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে বাংলাদেশ আজ সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জিতেছে। স্বাগতিকদের এই আয়েশী জয় এসেছে তানজিদ তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ৩৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার দলের ম্যানেজার তামিম ইকবালের ভাই নাফিস ইকবালের কাছে মিষ্টির আবদার করেছেন। তামিম বলেন, ‘‘আমাদের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল ভাইকে উৎসর্গ করেছি। গত রাতে তিনি আমাকে টিকিটের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, ‘এটা আপনার জন্য এটা উপহার।’ তারপর তিনি আমাকে বললেন, ‘পরে যখন তুমি ফিফটি করবে, তাহলে আমাকে ব্যাট দেখাবে।’ তাঁর উচিত আমাকে মিষ্টি খাওয়ানো।’’
আয়ারল্যান্ডের ষষ্ঠ থেকে দশম—শেষ পাঁচ উইকেটের প্রত্যেকটিতে ক্যাচ ধরেছেন তানজিদ তামিম। শুরুটা করেছেন ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে গ্যারেথ ডেলানিকে দিয়ে। শেষটা করেছেন ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে বেন হোয়াইটের ক্যাচ ধরে। পাঁচটা ক্যাচই ধরেছেন লং অন, লং অফ এলাকায়। পাঁচ ক্যাচ ধরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ডে যৌথভাবে সবার ওপরে তিনি। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন,‘আলহামদুলিল্লাহ সিরিজ জিতেছি। পাঁচটা ক্যাচ নিয়েছি। আসলেই মজার ছিল। আমি ও আমার সতীর্থরা এটা উপভোগ করছিল। প্রথম ইনিংস শেষে সবাই এই ব্যাপা নিয়েই কথা বলছিল।’
সমান পাঁচ ক্যাচ নিয়ে তানজিদ তামিমের সঙ্গে এই তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে আরও দুই ক্রিকেটার। মালদ্বীপের ওয়েদাগে মালিন্দা ও সুইডেনের সেদিক সাহাক এক ইনিংসে পাঁচটি করে ক্যাচ নিয়েছেন। ২০২৩ সালে কাতারের বিপক্ষে মালদ্বীপের মালিন্দা এই কীর্তি গড়েছিলেন। সুইডেনের সেদিকের পাঁচ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ডটা হয়েছে এ বছরের সেপ্টেম্বরে আইল অব ম্যানের বিপক্ষে।