বৃষ্টিভেজা দ্বিতীয় দিনে মিরপুর টেস্টে খেলা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩৮ বল। কয়েক দফা বৃষ্টির বাগড়ায় আজ একবারই খেলা শুরু করা গিয়েছিল। তাতে অবশ্য পেসারদের হাত নিশপিশ করার কথা। এমন একটা কন্ডিশনই তো পেসাররা আশা করেন সব সময়। আগের দিনও অনেকটা একই উইকেট পেয়েছিলেন বাংলাদেশ পেসাররা। কিন্তু সেই উইকেট কাজে লাগাতে পারলে তো?
বৃষ্টি বাধায় খেলা শুরুর পেসার খালেদ আহমেদের হাতে বল তুলে দেন মুমিনুল হক। প্রথম বলেই বাবর আজম চার মেরে অভ্যর্থনা জানান খালেদকে। পরের ওভারে বোলিংয়ে আসেন আরেক পেসার ইবাদত হোসেন। ওভারের দ্বিতীয় বলে তাঁকে চার মেরে শুরু করেন আজহার আলী। কিছুটা অনুকূল কন্ডিশন পেয়েও বাংলাদেশ পেসাররা পাকিস্তান ব্যাটারদের ওপর বিন্দুমাত্র প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। পেসাররা হতাশ করেন চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টেও। মিরপুরে দুই দিনে যেটুকু খেলা হয়েছে তাতে পাকিস্তানের পড়েছে দুই উইকেট। দুটোই বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের দখলে।
বৃষ্টিতে দিনের খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার পর কথা বলেন বাংলাদেশ ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান। কন্ডিশন কিছুটা অনুকূল থাকার পর মিরপুরে পেসারদের এমন পারফরম্যান্স হতাশাই ঝরল ফিল্ডিং কোচের কণ্ঠে, ‘ওইভাবে যদি মূল্যায়ন করি… আসলে ভালো না। প্রথম বলটা চার হয়েছে…। দুজন পেস বোলার আমরা খেলিয়েছি। কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে ছিল। কিন্তু সেই অনুযায়ী আমরা পারফর্ম করতে পারিনি। এটা বাস্তবতা। পাকিস্তানের পেসারদের সঙ্গে যদি তুলনা করি, ওরাই আমাদের ডমিনেট করছে। উইকেট নিচ্ছে। আমাদের পেসাররা পারছে না। উইকেট নিতে গিয়েই হয়তো তাদের (মানসিক) জায়গাটা নড়ে যাচ্ছে। এটা একটা কারণ হতে পারে।’
দেশে তো বটেই দেশের বাইরে গিয়েও সংগ্রাম করতে হয় বাংলাদেশ পেসারদের। ঘরের মাঠে স্পিনাররা তাও নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ ফিল্ডিং কোচের চোখে তবুও পাস মার্কই পাচ্ছেন ইবাদত-খালেদরা। তাঁর মতে, ‘আমাদের স্পিনাররা পেসারদের চেয়ে এগিয়ে থাকে উইকেট ও কন্ডিশনের জন্য। অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি আমাদের পেসারদের তুলনা করেন তাহলে ১০ এর মধ্যে হয়তো ৫-৬ দেব।’