বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে সব সময় পজিশনকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। দলের প্রয়োজনে ব্যাটারদের পজিশনে পরিবর্তন আনে ম্যানেজমেন্ট। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন না মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি।
২০২৬ বিপিএলে অঙ্কনের ঠিকানা নোয়াখালী এক্সপ্রেস। নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে আছেন হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হাবিবুর রহমান সোহানদের মতো বেশকিছু দেশি পরিচিত মুখ। বিদেশি কোটাতেও তাদের সংগ্রহ দারুণ। স্কোয়াডে ভিড়িয়েছে জনসন চার্লস, কুশল মেন্ডিস, মোহাম্মদ নবী, হায়দার আলীদের মতো তারকাদের। এমন একটি স্কোয়াড নিয়ে শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছেন অঙ্কন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই ভালো ক্রিকেট খেলে জাতীয় দলে জায়গা পেতে চায়। আমারও তেমন লক্ষ্য আছে। আমি দলের হয়ে যেখানে যে পজিশনে সুযোগ পাই যেন অবদান রাখতে পারি। আমার কাছে মনে হয় যে আমি যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি অবশ্যই ইনশাআল্লাহ ভালো সুযোগ আসবে।’
দলের স্বার্থে যেকোনো পজিশনে ব্যাট হাতে নামতে প্রস্তুত অঙ্কন, ‘আমরা যাঁরা মিডল অর্ডার, লোয়ার অর্ডারে খেলি যে কারোর পজিশন চেঞ্জ হতে পারে। তার কারণে আমরা আগে থেকেই যদি সেট করে রাখি যে আমি এই পজিশনে খেলব সেটা হবে না। আমাদের কথা হচ্ছে যে আমরা কোন পজিশনে কখন কে কোথায় আসলে নামবে, কে কোথায় কার কি প্ল্যান ওই অনুযায়ী খেলবে।’
নবীর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দলের জন্য দারুণ সহায়ক হবে বলে মনে করেন অঙ্কন, ‘অনেক কাজে লাগবে (মোহাম্মদ নবীর অভিজ্ঞতা)। সে অনেক বছর ধরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে, বিপিএলও অনেক বছর খেলছে। আশা করছি যে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারবো দল হিসেবে।’
বিপিএলে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অঙ্কন বলেন, ‘সবাই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরা শুরু থেকে দল হিসেবে কতটা গুছানো ক্রিকেট খেলতে পারছি, কতটা সবাই পারফরম্যান্স করতে পারছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা ম্যাচ ভালো খেলাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’