অর্থের ঝনঝনানিতে পরিপূর্ণ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপিএল) পাখির চোখ করেন না এমন ক্রিকেটার পাওয়া যেন একটু কঠিনই। সেখানে রোহিত শর্মা ও আইপিএল শব্দ দুটি যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে। আইপিএলের একের পর এক শিরোপা জয় তো একরকম নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে রোহিতের বেতনও বেড়েছে অনেক।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের জার্সিতে শুরু হয় রোহিতের আইপিএল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও রোহিতের ক্যারিয়ার তখন কেবল শুরু। ভারতীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক তালিকায় দেখা গেছে, আইপিএলের প্রথম মৌসুমে রোহিতের বেতন ছিল ৩ কোটি ভারতীয় রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা প্রায় ৪ কোটি টাকা। ৩৬.৭২ গড় ও ১৪৭.৯৮ স্ট্রাইক রেটে ৪ ফিফটিতে সেবার করেন ৪০৪ রান। তবে আট দলের মধ্যে ৮ নম্বরে থেকেই টুর্নামেন্ট শেষ করে তাঁর দল।
প্রথম মৌসুমে তলানিতে থাকা ডেকান ২০০৯ আইপিএলে লিখেছে প্রত্যাবর্তনের গল্প। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ডেকান হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। ব্যাটিংয়ের চেয়ে সেবার বোলিংয়ে দুর্দান্ত ছিলেন রোহিত। ৭ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১১ উইকেট। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে সেবার হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। এরপর ২০১০ আইপিএলে ডেকানের পথচলা থেমে যায় সেমিতেই। তৃতীয় আইপিএলেও ৪০৪ রান করেছেন রোহিত। তবে আইপিএলে ডেকানে তিন বছর খেললেও রোহিতের বেতন থেকে গেছে ৩ কোটি রুপিতেই।
তিন মৌসুম ডেকানে খেলার পর ২০১১ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যান রোহিত। ৩ কোটি থেকে বেতন বেড়ে ভারতীয় এই ব্যাটারের বেতন হয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি (১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা)। ভারতীয় এই ব্যাটার এরপর থেকে গেছেন মুম্বাইতেই। ২০১১ থেকে ২০১৩-তিন মৌসুমেই ৯ কোটি ২০ লাখ রুপি করে পেয়েছেন তিনি। ২০১৩ আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। সেবার ৩৮.৪২ গড় ও ১৩১.৫৪ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫৩৮ রান; যা তাঁর আইপিএলে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রান।
২০১৩ অইপিএল জেতার পরই রোহিতের বেতন বেড়ে যায় আবারও। ভারতীয় এই ব্যাটারের ২০১৪ আইপিএলে বেতন বেড়ে হয় ১২ কোটি ৫০ লাখ রুপি (১৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা)। তিনি আসার পর মুম্বাইও জিততে থাকে একের পর এক আইপিএল শিরোপা। ২০১৫,২০১৭ চার বছর ব্যবধানে আরও দুটি আইপিএল শিরোপা জেতে মুম্বাই। যার মধ্যে ২০১৫ আইপিএলে ৩৪.৪২ গড় ও ১৪৪.৭৪ স্ট্রাইক রেটে করেন ৪৮২ রান। করেন ৩টি ফিফটি।
আইপিএলে মৌসুম অনুযায়ী রোহিতের বেতন (টাকায়)
২০০৮; দল: ডেকান চার্জার্স; ৪ কোটি
২০০৯; দল: ডেকান চার্জার্স; ৪ কোটি
২০১০; দল: ডেকান চার্জার্স; ৪ কোটি
২০১১; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১২ কোটি ১৩ লাখ
২০১২; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১২ কোটি ১৩ লাখ
২০১৩; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১২ কোটি ১৩ লাখ
২০১৪; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৬ কোটি ৪৮ লাখ
২০১৫; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৬ কোটি ৪৮ লাখ
২০১৬; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৬ কোটি ৪৮ লাখ
২০১৭; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৬ কোটি ৪৮ লাখ
২০১৮; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৯ কোটি ৭৮ লাখ
২০১৯; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৯ কোটি ৭৮ লাখ
২০২০; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৯ কোটি ৭৮ লাখ
২০২১; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ১৯ কোটি ৭৮ লাখ
২০২২; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ২১ কোটি ১০ লাখ
২০২৩; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ২১ কোটি ১০ লাখ
২০২৪; দল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস; ২১ কোটি ১০ লাখ