বাংলাদেশকে পেলে একটু বেশিই যেন চওড়া হয়ে উঠে ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাট। জিম্বাবুয়ের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ক্যারিয়ারের ছয়টি টেস্ট সেঞ্চুরির পাঁচটিই সাকিব–তামিমদের বিপক্ষে। হারারে টেস্টের তৃতীয়ও দিনও ছুটছিলেন সেই পথে! শতরানটা দৃষ্টিসীমায় থাকতেই ধৈর্য হারালেন। তারই মাসুল গুণে মেহেদী হাসান মিরাজকে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগে বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলী রাব্বীর হাতে তুলে দিলেন ক্যাচ। তার আগে অবশ্য ওয়ানডে মেজাজে ৯২ বলে করেছেন ৮১ রান।
১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষে করা জিম্বাবুয়ের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজ শুরু থেকেই বেশ দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন। বিশেষ করে টেলর। শন উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে দলের অধিনায়কত্বের ভার পাওয়া টেলর যেন ব্যাটিংয়ের ভারটাও নিজের কাঁধে তুলে নিলেন। ব্যাটিং করছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। ৪৭ ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানকে ছক্কা মেরে টেলর পৌঁছান ফিফটিতে। ১১তম টেস্ট ফিফটিটি করতে টেলরের লেগেছে ৫৮ বল। অন্য প্রান্তে টেস্ট মেজাজে খেলছিলেন কাইতানু। দলীয় ১৭৬ রানে টেলর আউট হওয়ার আগে দুজনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি।
প্রথম দিনের প্রথম সেশন ছাড়া হারারের উইকেটে সেভাবে বোলারর সুবিধা করতে পারছে না। প্রথম দিন বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ওপর ঝড় বইয়ে দেওয়া মুজারাবানিদের দ্বিতীয় দিন টেল এন্ডারদের আউট করতেই ঘাম ছুটেছে। বাংলাদেশের বোলারদেরও একই সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দারুণ ব্যাটিং করা তাসকিন বোলিংয়েও জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের তটস্থ রাখলেও অন্য প্রান্তে ইবাদত হোসেনকে খেলতে কোনো অসুবিধাই হচ্ছে না কাইতানুদের। সাকিব–মিরাজও সেভাবে সুবিধা আদায় করতে পারছেন না উইকেট থেকে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৬৮ রানের জবাবটা তাই ভালো দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের স্কোর ২ উইকেটে ২২৫। এখনো পিছিয়ে ২৪৩ রানে।