বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল ও সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে বিরোধীদের কর্মসূচি বানচাল, সহিংস আক্রমণ, মামলা, গ্রেপ্তারের কাজে ব্যবহারের ফলে সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।
আজ রোববার দলের নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় বাজারে নৈরাজ্যের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা জড়িত জানিয়ে রিজভী বলেন, দলীয় লোকদের দিয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের প্রতি সরকারের উদার দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই আজ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষকে অনাহারে থাকতে হচ্ছে। অস্বাভাবিক দাম দিয়ে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছে না। এমন সিন্ডিকেট শুধু দুর্বৃত্তপরায়ণ অনাচারমূলক সরকার থাকলেই সম্ভব। এরা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে তামাশা করে।
রিজভী জানান, গত ১৯ মে থেকে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশগুলোকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ২১৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৮৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় ৯ হাজার ৮০০-এর অধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দলীয় কাজে ব্যবহার ও নির্বিকার ভূমিকার জন্যই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দাপটে গোটা জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আইনশৃঙ্খলা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে, প্রতি পদে মানুষের জীবন বিপন্ন।
ক্ষমতাসীন দলের দলীয় সন্ত্রাসীদের কারণে ঈদে মানুষ বাড়িতে ফিরেও স্বস্তিতে ছিল না জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সমাজ, সংস্কৃতি, সভ্য আচরণ আজ বিপন্ন অশুভ রাষ্ট্রশক্তির দৌরাত্ম্যে। আওয়ামী অবৈধ শাসনের তীব্র কশাঘাতে আজ জনগণের জীবন-মরণের প্রশ্ন। ওরা (আওয়ামী লীগ) হিংসা-প্রতিহিংসার পথে এগোতেই ভালোবাসে।
আগামীর আন্দোলন আওয়ামী প্রভুত্ববাদের অধীনতা থেকে মুক্তির আন্দোলন জানিয়ে রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহারের দাবির আন্দোলনে দেশবাসী আজ ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ। এবারের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার আদায়ের সংগ্রামে হবে স্মরণীয় জয়।