১৮ ঘণ্টা পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সায়রুল কবির খান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার লিভারে ‘ট্র্যান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপোটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস) ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই রক্তনালির মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের পর খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘মোটামুটি’ বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদেশ থেকে তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছেন। তাঁরা অত্যন্ত সফলভাবে একটা প্রসিডিউর (টিপস) করতে পেরেছেন। এখন পর্যন্ত মোটামুটি আছেন।’
গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
লিভার সিরোসিসের জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় অনেক দিন থেকেই তাঁর বারবার বুকে-পেটে তরল জমে আসছে। এই সমস্যা উপশম করতে ‘টিপস’ করার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ অবস্থায় গত বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন ঢাকায় আসেন। এরপর তারা মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।