হোম > রাজনীতি

জ্বর ছাড়লেও ঝুঁকিতেই আছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জ্বর ছেড়েছে। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিশেষ করে কিডনি, ফুসফুস ও হার্টের সমস্যাগুলো আগের মতই রয়েছে। যেকারণে জ্বর ছাড়লেও তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি চিকিৎসকদের। এ অবস্থায় আবার যেকোনো সময় খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার এক চিকিৎসক আজকের পত্রিকাকে এ খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাতে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) জ্বর ছেড়েছে। এরপর থেকে আর জ্বর আসেনি। আজ (বৃহস্পতিবার) সারা দিন তাঁর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল।’ 

তবে জ্বর ছেড়ে যাওয়া স্বস্তির নয় জানিয়ে ওই চিকিৎসক বলেছেন, তাঁর শরীরের বিরাজমান সমস্যাগুলোর যথাযথ উন্নতি না হলে কয়েক দিন পর পর এভাবে জ্বর আসতে পারে।

এই দিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও খালেদার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কথা বলেন। দুপুরে ঢাকার বেরাইদে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ চার বছর তাঁর চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে আবার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাঁর লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাঁর পুরোনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এসব মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।’ এ সময় খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে মুক্তি দিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
 
২৭ এপ্রিল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে হাসপাতালটির বিশেষ কেবিনে রেখে চিকিৎসা চলছে তাঁর। তাঁর চিকিৎসায় ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে। সবশেষ ১৩ জুন তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে থাকতে এর আগেও বেশ কয়েকবার জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি।
 
বারবার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন চিকিৎসকেরা। যেকারণে সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় কিছু সুপারিশও দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। বোর্ডের সুপারিশে খালেদা জিয়ার লিভারের অবস্থা কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা বিশদভাবে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পুরো লিভার অথবা লিভারের অংশবিশেষও প্রতিস্থাপন করা লাগতে পারে। করোনা এবং করোনা পরবর্তি জটিলতায় কিডনি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা বেশ কমে গেছে। এর ফলে প্রোটিন ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়েছে তাঁর শরীর। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উন্নত চিকিৎসা দরকার। হার্টের স্পন্দন মাঝে মাঝেই অনিয়মিত হচ্ছে। যেকোনো সময় তাঁর এনজিওগ্রাম এবং রিং পরানোর প্রয়োজন পড়তে পারে। কিন্তু তাঁর মত একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ কাজটি করতে দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকেরা ঝুঁকি নেবেন কী-না সে নিয়েও সংশয় রয়েছে। পুরোনো হাঁটুর ব্যথাটাও আগের চেয়ে বেড়েছে খালেদা জিয়ার। এই চিকিৎসা বরাবরই তিনি দেশের বাইরে করিয়েছেন।
 
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে সম্প্রতি মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতাল, চিকিৎসা সামগ্রী এবং প্রযুক্তি যথেষ্ট নয়। এ জন্য সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর আগে ৩ মে সিসিইউতে আনার পরেও একই পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা। সেই সময়ই পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদাকে দেশের বাইরে নিতে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। আইনি জটিলতায় সে আবেদন নাকচ হয়। 

রাত ১২টার সময়ই কানায় কানায় পূর্ণ সংবর্ধনাস্থল

তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ঢাকায় আনবেন ক্যাপ্টেন ইমামুল

বড়দিনে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা

হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিতে হলো সিয়ামকে: জামায়াত আমির

তারেক রহমানকে বিদায় জানাতে হিথরো বিমানবন্দরে ভিড়

বিএনপি সরকার গঠন করলে গণঅধিকারকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করবে: নুর

তারেক রহমানের জন্য উড়োজাহাজে এ-১ আসন নির্ধারণ

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে নির্বাচন চায় এনসিপি-জামায়াত

লন্ডন থেকে রাত সোয়া ১২টায় দেশের পথে রওনা দেবেন তারেক রহমান, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা

৩ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে জামায়াত