ঢাকা: ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশিদের ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে এবং ইসরায়েলের পাসপোর্ট নিয়ে কেউ বাংলাদেশে আসতে পারবেন না।
আজ সোমবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মানুষের জন্য বিনা মূল্যে একটি লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি দিতে সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তথ্যমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাসপোর্টে পরিবর্তনটা ইন্টারন্যাশনাল নর্মসের কারণে করা হয়েছে। কোনোভাবেই এতে ইসরায়েলের উল্লসিত হওয়ার কারণ নেই। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, ভবিষ্যতেও হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পাসপোর্টে যাই লেখা থাকুক না কেন বাংলাদেশিদের জন্য ইসরায়েল ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে, বন্ধ থাকবে। একই সাথে ইসরায়েলি পাসপোর্ট নিয়ে কারও বাংলাদেশে আসাটাও বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা ‘ইসরায়েল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রে বৈধ’ বাক্যটি থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ কথাটি সম্প্রতি বাদ দেওয়া হয়েছে।
এক সময় বাংলাদেশিদের পাসপোর্টে লেখা থাকত-‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল, তাইওয়ান অ্যান্ড দ্য রিপাবলিক অব সাউথ আফ্রিকা’। পরে সাউথ আফ্রিকা ও তাইওয়ানের নাম বাদ দেওয়া হলেও ইসরায়েলের নাম থেকে যায়। এখন ই-পাসপোর্টে পরিবর্তন এনে লেখা হচ্ছে-‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’।
হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাদের নাগরিকরা ইসরায়েল ভ্রমণ করে না। কিন্তু তাদের পাসপোর্টে সেই কথাটি উল্লেখ নেই, আমাদের পাসপোর্টে যেটি উল্লেখ ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। ইসরায়েল আগ্রাসনের মাধ্যমে মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ নিয়মিতভাবে সংগঠিত করে আসছে সেটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যে অবস্থান তা একই জায়গায় আছে। বরং সাম্প্রতিক ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে হামলা হয়েছে বাংলাদেশ আরও সংক্ষুব্ধ হয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আরেক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোজিনা ইসলামের মুক্তির পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন এতে মনে হচ্ছে তাঁর মুক্তিতে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি খুশি হয়নি। তাঁরা চেয়েছিল রোজিনা ইসলাম আরও কিছুদিন কারাগারে থাক। তাহলে তাদের জন্য রাজনীতি করার একটু সুযোগ হত।