জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে দু-একটি দলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান দু-একটি দলের নেতৃত্বে হয়নি, সুতরাং কোনোভাবেই দু-একটি দল কিংবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি মহলের প্রস্তাবকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মুলতবি অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির বিষয়ে নুরুল হক নুর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ইলেকটোরাল পদ্ধতির ২টি বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ এবং নিম্ন কক্ষের ৫০০ সদস্য এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের মেয়ররাসহ মোট ৫৭৬ জনের গোপন ব্যালটের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতির বিষয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে। তবে এ বিষয় নিয়ে এখনো আলোচনা চলমান।
আওয়ামী লীগের দোসর ছিল এমন রাজনৈতিক দলও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধানদের মারফতে তদবির করে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ নুরুল হক নুরের।
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা প্রশ্ন তুলেছি এবং পরবর্তী মিটিংয়ে এ বিষয়ে একটা সমাধান চাইব। যে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, তাদের ক্ষমতার বেনিফিশিয়ারি ছিল। তাদের ১৪ দলে ছিল। তারা যদি এখানে আসে এটা জুলাইয়ের প্রতি অবমাননা। শহীদদের সঙ্গে বেইমানি।’