দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিন ও ইরানের প্রতি সংহতি জানাতে একটি দিন ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ইরানে ইসরায়েল-মার্কিন বর্বর আগ্রাসী হামলা বন্ধের’ দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সাইফুল হক বলেন, ‘শুধু বিবৃতি দিয়ে হবে না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একটি দিন ঘোষণা করুন। ওই দিন এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ফিলিস্তিন ও ইরানের জনগণের পক্ষে রাজপথে নেমে আসবে, ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজপথে নেমে আসবে।
‘গণহত্যা বন্ধের জন্য দেশের পতাকা মাথায় বেঁধে আমরা সেদিন রাজপথে দাঁড়াব। দল-মতনির্বিশেষে ফিলিস্তিন ও ইরানের জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংহতি দিবস ঘোষণা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘ইরানের শাসনব্যবস্থা নিয়ে আমাদের সমালোচনা আছে, আপত্তি আছে এটা সত্য। তবে ইরান একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। ইরানের জনগণ ঠিক করবে ইরানের শাসনব্যবস্থা কী হবে, ইরান কোনভাবে চলবে। কিন্তু বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে পরমাণু অস্ত্র আছে বলে সার্বভৌম দেশটিতে হামলা চালাবে, গুঁড়িয়ে দেবে, তা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা সমাবেশে আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র পুরো দুনিয়ায় যা খুশি তাই করতে চাইছে। জাতিসংঘ একটা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব তোলা হলে তাতে ভেটো দেওয়া যায়। আমি বলতে চাই, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ কেউ ভেটো দিতে পারবে না।
‘যুক্তরাষ্ট্র কোথাও যুদ্ধ থামাতে পারেনি। জাতিসংঘ কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কোথাও যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি। কারণ নিরাপত্তা পরিষদে যখনই কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ভেটো দিয়ে তা আটকে দেয়। তাই বলছি, তাদের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা তুলে দিতে হবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোসতাক, বহ্নি শিখা জামালি, আকবর খান প্রমুখ।