অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থেকে এসব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আহ্বান জানান। ৩০ মে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে যৌথসভা শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাজার হাজার ছাত্র–জনতার রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার ও সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠন করার যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানেও একটি ‘কালো ছায়া’ এসে দাঁড়াচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার, জনগণের অধিকার ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশ ঘটানো হচ্ছে দেশকে অস্থিতিশীল করতে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পরস্পরের মুখোমুখি করার একটা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সজাগ থাকতে হবে, সেই সঙ্গে রুখে দাঁড়াতে হবে সমস্ত চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য। সীমান্তের ওপার থেকে যে ষড়যন্ত্র চলছে, সে ব্যাপারেও সজাগ থাকতে হবে। কেউ যেন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিলীন করতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আট দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালিত হবে।
এর মধ্যে ২৭ ও ২৮ মে ঢাকায় হবে তারুণ্যের সেমিনার ও সমাবেশ। ২৯ মে বেলা ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ওই দুই দিন মৃত্যুবার্ষিকীর অন্য কোনো কর্মসূচি থাকবে না। আর ৩০ মে সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন নেতা-কর্মীরা।