ঢাকা: করোনা আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন করেছে তার পরিবার। এরই মধ্যে আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।
এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিদেশ যেতে পারবেন না এই শর্তে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই শর্ত শিথিল করা যায় কিনা তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দ্রুতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
কারামুক্ত হলেও বর্তমানে অন্তরীণ আছেন খালেদা জিয়া। কারামুক্তির শর্তানুযায়ী মুক্ত থাকার সময়ে তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। বিদেশেও যাওয়া যাবে না।
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য গতকাল বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনপত্রটি পর্যালোচনা করছে আইন মন্ত্রণালয়।
১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুরুতে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ২৭ এপ্রিল তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সাধারণ কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুপারিশ করেন চিকিৎসকরা।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ড পেয়ে জেলে ছিলেন খালেদা জিয়া। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার দণ্ডের ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়। দেশে চিকিৎসা নেওয়ার শর্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের বাসায় ছিলেন খালেদা। সেখানেই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লেও লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।