হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীকে এক দিনেই সাতটি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভূঁইয়া পৃথক পৃথক আদেশে এই জামিন দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাশকতার মামলাগুলো পল্টন থানায় করা হয়। মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী হেফাজত ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব এবং ঢাকার ইসলামবাগ মাদ্রাসা শাইখুল হাদিস ও অধ্যক্ষ। গত ১৪ এপ্রিল রাতে হাতিরপুলের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
এরপর ২০১৩ সালের হেফাজতের আন্দোলনের সময় সংঘটিত নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় করা ১০টি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়ার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ১১ আগস্ট মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান তিনটি মামলায় আফেন্দীকে জামিন দেন। আজ বাকি সাতটি মামলায় জামিন পাওয়ায় আফেন্দীর মুক্তিতে আর আইনগত কোনো বাধা রইল না।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। মামলায় বলা হয়েছে, অবরোধের নামে হেফাজত নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি–বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালের ৫ মে বায়তুল মোকাররম এলাকায় তাণ্ডব চালায়। নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররম ও আশেপাশের এলাকায় আগুন দেয়। ভাঙচুর করে। তাঁরা বায়তুল মোকাররম ও আশেপাশের বইয়ের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন। পবিত্র কোরআন, বিভিন্ন হাদীসের বই ও ধর্মীয় বইও তাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি। আসামি মঞ্জুরুল ইসলাম প্রত্যক্ষভাবে এই তাণ্ডবে অংশ নিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।