হোম > রাজনীতি

আয়নাঘরের কোথায় রাখা হয়েছিল, দেখেই চিনে ফেললেন নাহিদ ও আসিফ

টর্চার সেল (নির্যাতনকেন্দ্র) পরিদর্শনে মো. নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে তুলে নেওয়ার পর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) টর্চার সেলে (আয়নাঘর) আটকে রাখা হয়েছিল।

আজ বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ডিজিএফআইয়ের সেই দুই টর্চার সেল চিনতে পারার কথা জানিয়েছেন নাহিদ ও আসিফ।

জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নাহিদ ও আসিফকে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়। আয়নাঘর পরিদর্শনের পর আসিফ জানান, তাঁকে যে কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল সেই কক্ষের দেয়ালের উপরের অংশের খোপগুলোতে এক্সস্ট ফ্যান ছিল, এখন নেই।

আসিফ আরও জানান, তিনি দেয়াল দেখে কক্ষটিকে চিনতে পেরেছেন। কক্ষটি আগে অনেক ছোট ছিল, এখন মাঝের দেয়াল ভেঙে বড় করা হয়েছে। ওই কক্ষে তাঁকে চার দিন আটকে রাখা হয়েছিল। এ সময় বাইরের কারও সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। টয়লেট ছিল কক্ষের বাইরে এবং তাঁকে চোখ বেঁধে টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হতো।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাকে চোখ খুলে দেওয়ার পর দেখি এমন একটা রুম। যতক্ষণ রুমে থাকতাম, চোখ খোলা থাকত। বাইরে নেওয়ার সময় চোখ বেঁধে ফেলা হতো। সামনে একটা কাঠের দরজা ছিল, তার সামনে একটা লোহার দরজা ছিল। রুমে একটি কাঠের চৌকি ছিল।’

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি পরে ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেন, যেখানে দুই তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফকে আয়নাঘরের দুটি কক্ষে দেখা যায়।

একটি পোস্টে তিথি লেখেন, ‘গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই ‘টর্চার সেলে’ রাখা হয়েছিল নাহিদ ইসলামকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি ‘আইডেন্টিফাই’ করেন নাহিদ। এই কক্ষের এক পাশে টয়লেট হিসেবে একটি বেসিনের মতো ছিল বলে জানান তিনি। ৫ আগস্টের পর এই সেলগুলোর মাঝের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়, দেয়ালে রং করা হয়।’

আরেকটি পোস্টে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার একটি ছবি এবং বন্দীশালার দুটি ছবি দিয়ে তিথি লেখেন, গত জুলাইয়ে সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের এই ‘টর্চার সেলে’ রাখা হয়েছিল আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে। আজ সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে কক্ষটি চিনতে পেরেছেন তিনি। দেয়ালের উপরের অংশের খোঁপগুলোতে ‘এক্সস্ট ফ্যান’ ছিল বলে জানান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, ‘আজকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশি ও বিদেশি গণমাধ্যম এবং ভিকটিমদের নিয়ে হাসিনার কুখ্যাত টর্চার সেল আয়নাঘর পরিদর্শন করেন। আয়নাঘরের বেশির ভাগ এভিডেন্সই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এখন বাকি আছে ধ্বংসস্তূপ। ভিকটিমরা জায়গাগুলো শনাক্ত করে তাঁদের করুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার নিকটে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকেও আন্দোলনের সময় গুম করে এখানে এনে রাখা হয়েছিল বলে জানান উপদেষ্টারা এবং সে সময়কার বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা তাঁরা স্মরণ করেন।’

নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়াও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আয়নাঘর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের বহু মানুষকে তুলে নিয়ে বিচারবহির্ভূতভাবে অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার অভিযোগ ওঠে। সেসব বন্দীশালার প্রতীকী নাম রাখা হয়েছে ‘আয়নাঘর’।

তুলে নেওয়া সেসব মানুষের কেউ কেউ বহু দিন পর পরিবারের কাছে ফিরে বীভৎস নির্যাতনের বিবরণ দিলেও অনেকের খোঁজ এখনো মেলেনি। বিভিন্ন বাহিনীর আওতাধীন এমন আয়নাঘরের সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ‘গুম তদন্ত কমিশন’।

খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে নয়, কাল কাতার থেকেই আসছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

খালেদা জিয়ার সুস্থতায় সারা দেশে বিশেষ দোয়া

দুই কারণে পিছিয়ে গেল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা

বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান

ঢাকায় পৌঁছেছেন জুবাইদা রহমান

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পিছিয়ে গেছে

খালেদা জিয়ার জন্য কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আসতে বিলম্ব

লন্ডন থেকে ঢাকার পথে জোবাইদা রহমান

বিএনপির নামে ২৮০০ সিসির ডিজেল ইঞ্জিন ‘হার্ড জিপ’ নিবন্ধন দিল বিআরটিএ

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ‘কারিগরি সমস্যা’, খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় কিছুটা বিলম্ব হতে পারে