হোম > মতামত > সম্পাদকীয়

তরুণদের ভোট

সম্পাদকীয়

নির্বাচন সময়মতো হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সংশয় এখনো কাটেনি। আদালতে রিট কিংবা কোনো কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান ইত্যাদি নির্বাচনের পরিস্থিতি কোন দিকে নিয়ে যাবে, সেটা বলা মুশকিল। তবে দেশের মানুষ একটি সুস্থ, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। প্রতিটি দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন উৎসবমুখর হয়ে উঠুক, এটাই জনতার অভিপ্রায়।

মুশকিল হলো, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মত জনতার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই ‘জনগণ যা চায়’ বলে যখন নিজেদের কথাই বলতে থাকে, তখন ধীরে ধীরে জনগণ সে কৌশল বুঝে উঠতে শুরু করে। শুকনো কথায় তখন চিড়ে ভেজানো কঠিন হয়ে পড়ে।

এই নির্বাচনে যে তরুণেরা ভোট দেবেন, তাঁদের অনেকেই এর আগে ভোট দিতে পারেননি। এর আগেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়নি। কিছু দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছিল। এবারও যদি কিছু দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা হয়, তাহলে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাবে।

তরুণেরা ভোট দেওয়ার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন বলে মনে হয়, তা হলো—ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম হতে পারে, এ রকম যেকোনো পদক্ষেপ রুখে দেওয়া। একাত্তর প্রশ্নে তরুণেরা বিভ্রান্ত হবেন না বলেই মনে হয়। কেন গণ-আন্দোলনপরবর্তী সময়টিতে নানা জায়গা থেকে একাত্তরবিরোধী বক্তব্য উঠে আসছে, তা নিয়েও তাঁরা ভাববেন নিশ্চয়। তরুণেরা নিজেরাই যাচাই করে নিতে পারবেন, কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা। তাঁরা যখন চুকনগর হত্যাকাণ্ডের কথা পড়বেন, তখন জেনে যাবেন এক দিনেই কীভাবে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনের মূল চেহারা নিয়েও তাঁরা নিশ্চয়ই নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন। ইতিহাসকে আড়ালে রেখে যে কৌশলী নতুন বয়ান সৃষ্টি করতে চাইছে কোনো কোনো মহল, তরুণেরা তাদের সেই ষড়যন্ত্রে পা দেবেন কি না, সেটাও সময় বলে দেবে।

হতাশ হওয়ার মতো ব্যাপার হলো, যাঁদের দায়িত্ব ছিল মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস ঠিকভাবে রচনার মাধ্যমে আমাদের অর্জন স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা করা, তাঁরা নানা সময় ব্যর্থ হয়েছেন এবং নিজেরাই ফায়দা লোটায় নিয়োজিত হয়েছেন।

কোনো জাতি তার ইতিহাসকে ভুল পথে পরিচালনা করে না। সবাই তার ইতিহাস নিয়ে গর্ব করে। বিজয়ের এই মাসে তরুণদের সে কথা মনে রাখতে হবে।

বুঝতে হবে, রাজনৈতিক দলের বয়ান আর মানুষের জন্য কাজ করা রাজনীতি সব সময় এক জায়গায় এসে মেলে না। জনগণ পাঁচ বছরের মধ্যে একটি দিনই তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়। এরপর যে দল ক্ষমতায় আসে, সে দল তার মতো করেই দেশ শাসন করতে থাকে। অভিজ্ঞতা বলে, সেই শাসনের সঙ্গে তাদের প্রতিশ্রুতি এবং অঙ্গীকারের মিল কম থাকে।

এবার নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় তরুণেরা সে দিকটা নিশ্চয়ই বিবেচনা করবেন।

ধর্ষণ ও আত্মহত্যা

গণতন্ত্র অধরা এখনো

ইমরান খান

শাপলাপাতা মাছ

ছাদে মানুষ

উচ্চ রক্তচাপ

তফসিল, নির্বাচন ও জনগণ

ঢাকা শহর যখন মুমূর্ষু

মোবাইল কোম্পানির বাণিজ্য

চালের বস্তা