সদ্যসমাপ্ত প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও এই নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১০ আসামিকে আটক করেছে।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালীন বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রফিকুল ইসলামকে আহত করার ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা নম্বর ১৪ (৫) ২৪ রুজু করা হয়। ওই মামলায় শনিবার পর্যন্ত মোট ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন বাকেরগঞ্জের পূর্ব মহেশপুরের মৃত জালাল গাজীর ছেলে মো. মিজানুর রহমান গাজী (২৮), শ্যামপুরের নুরুল হকের ছেলে মো. সিফাত হাওলাদার (১৯), শ্যামপুরের মৃত রুস্তম আলী হাওলাদারের ছেলে মো. সেলিম (৩৫), দুধাল মৌর শরীফ আফছারের ছেলে শরীফ আনোয়ারুল কবির (৫৭), আতাকাঠীর মো. হুমায়ুন হাওলাদারের ছেলে সজীব হাওলাদার (৩০), দুধাল মৌর মৃত আলী আহম্মদ হাংয়ের ছেলে আবুল বাশার বাচ্চু (৬০), মহেশপুরের মৌজে আলীর ছেলে মো. জিলান হাওলাদার (৩৮), শ্যামপুরের ইউসুফ খানের ছেলে রাকিব খান (২১), বড় পুইয়াউটার মৃত কামাল হাওলাদারের ছেলে মো. রিফাত হাওলাদার (২০) এবং পাদ্রীশিবপুরের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে ইমরুল হাসান লিমন (৩৭)।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, আটক আসামিরা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলামের (তালা প্রতীক) এজেন্ট ও কর্মী। ভোটের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় তাঁরা হলরুমে ছিলেন। আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে।