হোম > জাতীয়

ঈদের পর আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২৭ জুলাই—দেশে গত বছরের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু। ২৮ জুলাই শনাক্তে রেকর্ড। প্রতিদিনই চিত্র বদলাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনা। ভয়াবহ রূপে বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিছুতেই যেন থামানো যাচ্ছে না। মূলত পবিত্র ঈদুল আজহার পর থেকে এই ভাইরাসের ভয়ংকর রূপ দেখছে পুরো দেশ। অবশ্য এমন পরিস্থিতির শঙ্কা আগেই করেছিলেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশসহ আট দেশকে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল চলতে থাকলে পাশের দেশ ভারতের অবস্থায় যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, সর্বশেষ পাঁচ দিনে করোনায় প্রতিদিনই ২০০-এর বেশি মৃত্যু হয়েছে। ঈদের পর গত আট দিনে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৫৭ জনের। এমন চিত্র গত ১৬ মাসেও দেখা যায়নি। করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে শনাক্তের হারও। গত পাঁচ দিনে প্রতিদিনই ১১ হাজারের বেশি মানুষ শনাক্ত হয়েছেন। ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের। গতকাল পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২৫৫ জনে। আর শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন। 

ঈদের পর ভয়ংকর ৮ দিন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২২ জুলাই পাঠানো তথ্যে বলা হয়, এদিন করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মারা যান ১৮৭ জন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৬৯৭ জনের। ঈদের ছুটির প্রথম তিন দিন কম পরীক্ষার ফলে শনাক্তও কম ছিল। এ ছাড়া ২৩ জুলাই মৃত্যু ১৬৬, শনাক্ত ৬ হাজার ৩৬৪; ২৪ জুলাই মৃত্যু ১৯৫, শনাক্ত ৬ হাজার ৭৮০; ২৫ জুলাই মৃত্যু ২২৮, শনাক্ত ১১ হাজার ২৯১; ২৬ জুলাই মৃত্যু ২৪৭, শনাক্ত ১৫ হাজার ১৯২; ২৭ জুলাই মৃত্যু ২৫৮, শনাক্ত ১৪ হাজার ৯২৫ এবং ২৮ জুলাই মৃত্যু ২৩৭, শনাক্ত ১৬ হাজার ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়। পরীক্ষার নিরিখে ১৫ হাজার ২৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়, শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১।

হাসপাতালে ঠাঁই নেই 
করোনার এই ভয়াবহ অবস্থায় দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা ফাঁকা নেই। রোগীর চাপে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালই দিশেহারা। সাধারণ শয্যার পাশাপাশি আইসিইউর তীব্র সংকট। সংকটাপন্ন রোগীদের এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটোছুটি করতে হচ্ছে। আইসিইউর জন্য হাহাকার এতটাই যে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এক মা নিজের লাইফ সাপোর্টের সরঞ্জামাদি খুলে সংকাটপন্ন ছেলের জন্য দেন।বিধিনিষেধ মানছে না মানুষ সারা দেশে সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঘটনায়ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না। সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হচ্ছেন অনেকে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধিও মানায় অনীহা দেখা যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। অবশ্য স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা বরাবরই বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। 

জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংক্রমণ যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে ভয়াবহতা কোন পর্যায়ে যাবে, তা ধারণা করা মুশকিল। সরকার বিধিনিষেধ কিংবা যাই দিক না কেন, মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। 

হাদি হত্যাকাণ্ড: ফয়সাল ও তার সহযোগী ভারতে পালিয়েছে—জানাল ডিএমপি

শপথ নিলেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র: ১৩০ কোটি খরচ না করায় ক্ষতি ৩০০০ কোটি টাকা

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুমোদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল বিএনটিটিপি

প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ কাল

সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার সিরিয়াস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার, ঢাকার ৬ জেলায় এ পর্যন্ত সংগ্রহ ৫০৯টি

তারেক রহমান ও জাইমার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন, রোববার উঠবে কমিশনে

নিষিদ্ধ দলের নেতারা আটকে যেতে পারেন তফসিলের শর্তে