ডিজেল, কেরোসিন, এলপিজি ও টিসিবির পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম রাজনৈতিক দলগুলো। বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, বাসদ (মার্কসবাদী), ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী), সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টসহ আরও কয়েকটি দল।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ডিজেল, কেরোসিন ও এলপিজির মূল্য বৃদ্ধির ফলে কৃষি উৎপাদনে সেচ খরচ বাড়বে, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহনে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য পরিবহন ব্যয় বাড়বে। এলপিজির দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন ও গৃহস্থালি, হোটেল-রেস্টুরেন্টে রান্নার ব্যয় বাড়বে, এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত সাধারণ জনগণ। এর ফলে দেশের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
নেতারা বলেন, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করায় এবং এলপিজির দাম বাড়ানোয় এটা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে জনগণের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে মূল্য সমন্বয়ের নামে দাম বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। অথচ যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে তখন মূল্য সমন্বয় করে দাম কমানো হয় না।
বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জোর দাবি জানিয়ে নেতারা আরও বলেন, সরকার লোকসানের দোহাই দিয়ে জনগণের পকেট কাটার দিকেই মনোযোগী বেশি। টিসিবির দায়িত্ব সাধারণ মানুষকে মূল্য বৃদ্ধির কশাঘাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু সুরক্ষার বদলে টিসিবি নিজেই একটি মুনাফালোভী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করছে।
গত এক বছরে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন এবং ৬২ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন উল্লেখ করে বাম নেতারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ১৩ বছরে ১৪ দফায় পানি, ৭ দফায় গ্যাস, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ, একাধিকবার জ্বালানি তেলে মূল্য বৃদ্ধি করে শ্রমিক, শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষ ও ব্যাপক জনগণের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন এলপিজি ও টিসিবি’র পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির অযৌক্তিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানান তাঁরা।