হোম > জাতীয়

পাঁচ খাতে দক্ষ শ্রমিক নেবে সৌদি আরব, বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

পাঁচটি খাতে বিদেশিদের সৌদিতে কাজ করতে কর্মীর দক্ষতা যাচাইয়ে সে দেশের সনদ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য পাঁচ খাতের কর্মীর দক্ষতা যাচাই করে সনদ দিতে এক পরীক্ষামূলক প্রকল্প (স্কিলস ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম-এসভিপি) হাতে নিয়েছে সৌদি আরব।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

পাঁচটি খাত হলো—ওয়েল্ডিং, প্লাম্বিং, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিশিয়ান ও এসি মেকানিক। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এসভিপি’র আওতায় পাঁচ খাতের কর্মীর দক্ষতা বাংলাদেশে যাচাইয়ের জন্য সৌদি সংস্থা তাকামুল ও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) একটি চুক্তি সই করেছে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে কর্মীদের কোনো ফি দিতে হবে না। সনদের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। আর একজন কর্মী যতবার প্রয়োজন মনে করবেন, ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন।’ 

এরই মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানে এই পরীক্ষা চালু হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এই সনদ নিলে কর্মীর কী সুবিধা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এসভিপি সনদপ্রাপ্ত কর্মীরা অদক্ষ শ্রমিকের চেয়ে বেশি দক্ষ বলে বিবেচিত হন। সনদধারী কর্মীরা সৌদি আরবে গেলে বেশি আয় করতে পারবেন। অদক্ষ শ্রমিকের বেতন ৮০০-১,২০০ রিয়াল হয়ে থাকলে, দক্ষ কর্মী আয় করতে পারবেন ১,৫০০-১,৮০০ রিয়াল। কর্মী প্রেরণকারী দেশে প্রবাসী আয় বাড়বে।’ 

সনদ পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট ট্রেডভিত্তিক দক্ষতার পরীক্ষার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মী আরবি ভাষা, নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং কিছু সৌদি রীতিনীতি জানেন কি না, তাও যাচাই করা হবে বলে জানান তিনি। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতে দক্ষতা প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য প্রশিক্ষণকেন্দ্র গড়ে তোলা হতে পারে। মানুষের দক্ষতা বাড়ানোর সুবিধা গড়ে তোলা দেশের জন্য বিনিয়োগ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এতে বাংলাদেশের লাভ আছে। 

সনদ বাধ্যতামূলক করার কারণে নির্মাণশ্রমিক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও গৃহকর্মীসহ বিভিন্ন ধরনের অদক্ষ শ্রমিকের সৌদির আরব যেতে কোনো রকম দক্ষতার সনদ প্রয়োজন হবে না বলে জানান রাষ্ট্রদূত। 

ঢাকার সৌদি দূতাবাস বর্তমানে প্রত্যেক কর্মদিবসে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মীকে ভিসা দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। 

বিএমইটি মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আপাতত দুটি কেন্দ্রে সনদ যাচাইয়ের পরীক্ষা শুরু হবে। 

এতে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আসতে শুরু করবে, এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা এখন টাকা নিয়ে যাকে-তাকে পাঠিয়ে দেয়। শুধু টাকা দিলেই যাওয়া যাবে না, এই বোধটিও কর্মীদের মধ্যে আসা দরকার। আর দক্ষতার সনদ নিয়ে নিয়মকানুন মেনে গেলে অন্য দেশের কর্মীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যাওয়ার সুযোগ বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। 

তাকামলের মহাপরিচালক ফাহাদ আলকাসিম বলেন, ‘দক্ষতার সনদধারী কর্মী প্রয়োজন মনে করলে সৌদি আরবে এক বছর পর কাজ বদলাতে পারবেন। আর নিয়োগকর্তা চুক্তি অনুযায়ী বেতন না দিলে কর্মী আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পাবেন।’ 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক নাফিসা মনসুরও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। 

বর্তমানে সৌদি আরবে প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে বলে দূতাবাস জানায়। 

কার্যক্রম প্রভাবিত করতে মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে: গুম কমিশন

জনসচেতনতায় ‘ভোটের গাড়ির’ প্রচারণা শুরু সোমবার

দেড় দশকে পুলিশ, বিচার ও প্রশাসনের ভিত দুর্বল করা হয়েছে: আসিফ নজরুল

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে অপারেশন শুরু করবে যৌথ বাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎‎হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আগামী পাঁচ দিন শীতের অনুভূতি বাড়বে

অবশেষে প্রজাপতি প্রতীকে নিবন্ধন পেল আমজনতার দল

ফয়সালের অবস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই: অতিরিক্ত আইজিপি

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক